বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাস অভিযোগ করে বলেছেন, ‘রাখাইনে আওয়ামী লীগের আদলে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে মিয়ানমারের সেনারা। গত আট বছরে এভাবে নিপীড়ন চলেছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপর। তবে তারা পার্শবতী কোনো দেশে পালাতে পারেনি। এ কারণে অনেকে এখনো নিখোঁজ রয়েছে।’
Advertisement
শনিবার রাতে কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে বিএনপি আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের নির্যাতনের প্রমাণ শনিবার ফেনী ও চট্টগ্রামে প্রত্যক্ষ করেছে দেশবাসী। বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে কক্সবাজারে আসার পথে ফেনীতে ও মিরসরাইয়ে হামলা চালিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় অনেক নেতাকর্মী নিখোঁজ রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাই প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সর্বস্ব লুট করে নৌকা ডুবিয়ে দিয়েছে। এ কারণে টেকনাফ সীমান্তে একাধিক নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির আহ্বানের প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেনা মোতায়েন করেছে সরকার। এ কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শৃংখলা ফিরে এসেছে। এ জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। কারণ সেনাবাহিনীর মোতায়েনের কারণে অনেক রোহিঙ্গার প্রাণে বেঁচে গেছেন।
Advertisement
রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণ আওয়ামী লীগ সরকার লুটপাট করেছে দাবি করে মীর্জা আব্বাস আরও বলেন, ত্রাণ লুটের কারণে আওয়ামী লীগের ৬ জন নেতাকর্মী এখন কারাগারে রয়েছে। সরকার এখনও পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণে কোনো নিয়ম করেনি। এ জন্য সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বিএনপি ত্রাণ বিতরণ করবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খাঁন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সভাপতি শাহা জাহান চৌধুরী ও জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক ইউছুপ বদরীসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ।
সায়ীদ আলমগীর/আরএস
Advertisement