আন্তর্জাতিক

‘শান্তি আলোচনায় প্রস্তুত আরসা’

মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) বলছে, তারা সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছে। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক টুইট বার্তায় আরসা এ তথ্য জানিয়েছে।

Advertisement

গত আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তাবাহিনীর বেশ কিছু তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালায় আরসা। আরসার এই হামলার পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাবিরোধী কঠোর অভিযান শুরু করে। সেনাবাহিনীর এই অভিযানের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশি বাংলাদেশে পালিয়েছে। মিয়ানমার সরকার আরসাকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।

টুইটারের আরসা বলছে, ‘যদি কোনো পর্যায়ে মিয়ানমার সরকার শান্তি চায়, তাহলে আরসা তাকে স্বাগত জানাবে।’

রাখাইনে মানবিত্র ত্রাণ তৎপরতা কার্যক্রম অবাধে পৌঁছানোর জন্য গত সেপ্টেম্বরে আরসা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের এক মাসের বেধে দেয়া এই যুদ্ধবিরতি শেষ হবে সোমবার।

Advertisement

আরসা অভিযোগ করে বলছে, রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে আরসা বলছে, মিয়ানমার সরকার সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখে মানবিক ত্রাণ সহায়তায় বাধা দিয়েছে।

এছড়া রাখাইন রোহিঙ্গা শূন্য করতে গণহত্যা, সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, ভীতি প্রদর্শন ও গণধর্ষণকে রাজনৈতিক কৌশল বানিয়েছে সরকার।

জাতিসংঘ বলছে, গত ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর অন্তত ৫ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর রাখাইনে একই ধরনের একটি হামলার দায় স্বীকার করে আরসা। আরসার এই হামলার পর রাখাইনে কঠোর সেনা অভিযান শুরু হয়।

সূত্র : রয়টার্স।

Advertisement

এসআইএস/আরআইপি