বিরল চর্মরোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তার ডান হাত কাজ করছে। তার অপারেশন প্রয়োজন। তবে মুক্তাকে অপারেশনের উপযোগী করতে আরও ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।
Advertisement
বুধবার সকালে সরেজমিনে ঢামেক বার্ন ইউনিটের ৬০৮ (এ,বি) কেবিনে গিয়ে ব্যথায় কাতর হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে মুক্তাকে। নার্সরা তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রক্ত সংগ্রহ করেছেন। তবে মুক্তার রক্তশূন্যতার কারণে তার বাম হাতের কয়েকটি পয়েন্টে সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে রক্ত সংগ্রহ করতে পারেননি তারা। পরে অবশ্য তৃতীয় দফায় তার রক্ত নেয়া হয়েছে।
মুক্তার চিকিৎসার বিষয়ে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, মুক্তার হাতের অপারেশন দরকার। তবে তার শরীরে পুষ্টি এবং রক্তের পরিমাণ খুব কম। তার জরুরিভাবে রক্ত দরকার। আগামী ৩ দিন প্রতিদিন ১ ব্যাগ করে তাকে সতেজ রক্ত দেয়া হবে। ৩ দিন পর আমরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও হিমোগ্লোবিন চেক করবো। এরপর আরও রক্ত লাগবে কিনা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এছাড়াও তাকে পুষ্টিকর খাবার দিয়ে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। আমরা আশা করছি ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সে অপারেশনের জন্য ফিট হবে। মুক্তার রক্তের গ্রুপ এ পজিটিভ (এ+)।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন বিভাগের ডাক্তাররা তাকে দেখে গেছে। তারা বিভিন্ন মতামত দিচ্ছেন। আমরা তার বিষয়ে সমন্বিতভাবে সিদ্ধান্ত নিবো।
Advertisement
মুক্তার শরীরে সম্ভাব্য চারটি রোগের অস্তিত্বের কথা জানান ডাক্তাররা। রোগগুলো হচ্ছে, ডার্মাল ভাসকুলার ম্যালফরমেশন, লিমফেটিক ম্যালফরমেশন, নিউরোফাইব্রোমেটোসিস, কনজেনিটাল হাইপারকেরাটোসিস। সবগুলোই বহুমাত্রিক চর্মরোগ।
সামন্তলাল বলেন, আমরা তার সুচিকিৎসার বিষয়ে আশাবাদী।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তার সংবাদটি প্রকাশিত হয়। ৯ জুলাই রোববার জাগোনিউজেও ‘লুকিয়ে রাখতে হয় মুক্তাকে’ শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনের পর মুক্তাকে সরকারিভাবে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। পরে প্রধানমন্ত্রী তার যাবতীয় চিকিৎসার দায়ভার বহনের দায়িত্ব নেন।
এআর/এআরএস/আরএস/পিআর
Advertisement