রাজধানীর বনানীতে ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে মানবাধিকার কমিশনের গঠিত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হোটেলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিএএইচ আদনান হারুন।
Advertisement
এসময় আদনান হারুন বলেন, আমি এবং আমাদের এখানে কর্মরত স্টাফরা পদে পদে লাঞ্ছিত হচ্ছি। অনেকে ভয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। অনেকে সামাজিক মর্যাদার কারণে চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। সম্প্রতি হোটেলটি নিয়ে যা হচ্ছে, একজন মালিক হিসেবে আমি বলতে চাই ‘দ্য রেইন ট্রি’ ধ্বংসের মুখে।
সেই রাতের ঘটনার পর থেকে রেইন ট্রি এবং এর কর্মচারীদের সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হচ্ছে দাবি করে আদনান হারুন বলেন, ‘আমাদের মানবাধিকারের কী হবে?’
জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা (তদন্ত কমিটি) জানতে চেয়েছেন সেদিন রাতে কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে কি না। আমরা তাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। যদি এ ঘটনায় কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে থাকে আমরাও তাদের বিচার চাই।
Advertisement
সেই রাতের পর হোটেল থেকে একটি টাওয়াল হারিয়ে গেছে, কয়েকজন কর্মীও হোটেলের চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আদনান হারুন বলেন, শুনেছি অনেকে ভয়ে ও সামাজিক কারণে চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। কতজন গেছেন এটা বলতে পারছি না। আর টাওয়ালের বিষয়ে হোটেলের অপারেশনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে বলতে পারবেন, এটি আমার জানার কথা না।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হন দ্য রেইন ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিএএইচ আদনান হারুন এবং মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ফ্রাঙ্ক ফরগেট। তাদের সঙ্গে একজন আইনজীবীসহ আরও চারজন হাজির হন। তবে অন্যদের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। তাদের (হোটেলের এমডি, জিএম) দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীতে ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে সাফাত আহমেদ নামে এক বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দিতে গিয়ে অপরাপর বন্ধুদের সহায়তায় ধর্ষণের শিকার হন ওই দুই তরুণী। ওই ঘটনার ৪০ দিন পর গত ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন তারা।
মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি হলেন- সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ (রহমত আলী)। আসামিরা সবাই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।
Advertisement
এআর/জেডএ/জেআইএম