বিডিআর বিদ্রোহে নৃশংসভাবে ৫৭ সেনা অফিসারকে হত্যার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সেনা দিবস ঘোষণা করায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
Advertisement
নৌবাহিনী প্রধান বলেন, বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি বিডিআর বিদ্রোহের সকল শহীদদের প্রতি। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যারা এই ভয়ংকর পরিস্থিতির শিকার হয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন আমি তাদের সবার প্রতি আমার সহমর্মিতা ও সমবেদনা প্রকাশ করছি। আপনাদের যে ক্ষতি হয়েছে সেটা অপূরণীয়। সেটা পূরণ করার ক্ষমতা বা সক্ষমতা আমাদের কারোর নেই।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে বেশ কয়েকজন অফিসারের সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল, আমরা একসঙ্গে চাকরি করেছি। তাদের সঙ্গে পারিবারিক দিক থেকে আমি অনেক ঘনিষ্ঠ ছিলাম। মিলিটারি একাডেমি এবং স্টাফ কলেজে অনেকের সঙ্গে চাকরি করেছি। আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি, তারা এই দিবসটিকে জাতীয় সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। আমি মনে করি যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে ব্যক্তি, পরিবারের, বাহিনী এবং দেশের, তার কিছুটা হলেও স্বীকৃতি মিলেছে বলে আমার বিশ্বাস।
নৌবাহিনী প্রধান আরও বলেন, যে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন হয়েছে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো। যেন সত্যি ঘটনা সবার সামনে প্রকাশিত হয় এবং সুবিচার যাতে নিশ্চিত করা যায়। বাহিনীত্রয়ের পক্ষ থেকে আমরা সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস এবং নিশ্চয়তা প্রদান করছি। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সকলে দেশের জন্য কাজ করবো। বাংলাদেশের ইতিহাসে আর যেন এই ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড না ঘটে।
Advertisement
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী শহীদ অফিসারদের পরিবারবর্গ ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা।
টিটি/জেডএইচ/