রাজধানীর বনানীতে ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বলেছেন, আমরা রেইন ট্রির দুজনের সঙ্গে কথা বলেছি। সেদিন রাতে তাদের ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তারা আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
Advertisement
তিনি বলেন, তারা (হোটেল কর্তৃপক্ষ) বলেছেন, এ ঘটনায় তারা সমাজের কাছে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছেন। তাদের মানবাধিকারও লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে আমাদের জানিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে কমিশনের কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা জানান নজরুল ইসলাম।
রেইন ট্রির বক্তব্যে তদন্ত কমিটি সন্তুষ্ট কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সন্তুষ্টির বিষয় এখনও বলা যাচ্ছে না। আমরা মাত্র তাদের কথা শুনলাম, এগুলো যাচাই-বাছাইয়ের বিষয় রয়েছে।’
Advertisement
সেই রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে ওই দুই তরুণী যে অভিযোগ করেছেন সে বিষয়ে আমরা রেইন ট্রি’র কাছে জানতে চেয়েছি। তারা বলেছেন, অস্ত্রটি তাদের ফ্রন্ট ডেস্কে জমা রাখা হয়েছিল। হোটেল কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী সেটা ফ্রন্ট ডেস্কে সংরক্ষিত ছিল।
দুই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বলেন, তদন্তের স্বার্থে ভিকটিম দুই তরুণীকে আনুষ্ঠানিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী ৪ জুন তদন্ত কমিটির পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দ্রুততম সময়ে আমরা রিপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করব।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হন দ্য রেইন ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বি এ এইচ আদনান হারুন এবং মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ফ্রাঙ্ক ফরগেট। তাদের সঙ্গে একজন আইনজীবীসহ আরও চারজন হাজির হন। তবে অন্যদের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। হোটেলের ওই দুই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
Advertisement
এআর/জেডএ/আরআইপি