জাতীয়

‘প্রস্তুতির অভাবে’ মানবাধিকার কমিশনে যাননি বনানী থানার ওসি

‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির তলবে যাননি বনানী থানার ‘বিতর্কিত’ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিএম ফরমান আলী ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ। ‘প্রস্তুতির অভাবে’র কথা উল্লেখ করে হাজিরা দেয়ার জন্য কয়েকদিন সময় চেয়ে আবেদন করেছেন এই দুই কর্মকর্তা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম এ কথা জানান।

তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা প্রস্তুতি ও তাদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য সময় চেয়েছেন। আমাদের কমিটির আগামী সভা আগামী ৪ জুন রোববার। সেদিন বিকেল ৪টায় তাদের আবারও তলব করা হয়েছে।

মানবাধিকার কমিশনের তদন্তে পুলিশের ‘অসহযোগিতা’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নজরুল ইসলাম বলেন, তারা (পুলিশ) সেলফ ডিফেন্সের জন্য সময় নিয়েছে। আমরা কোনো অসহযোগিতা দেখছি না।

Advertisement

এর আগে গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীতে ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে এক বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বন্ধুদের সহায়তায় ধর্ষণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই তরুণী।

ওই ঘটনার ৪০ দিন পর গত ৬ মে সন্ধ্যায় তারা বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, রেগনাম গ্রুপের পরিচালক সাকিফ সাদমান, বন্ধু নাঈম আশরাফ (আবদুল হালিম), সাফোতের ড্রাইভার বিল্লাল ও দেহরক্ষী আজাদ (রহমত)।

এ ঘটনায় ওই রাতে এবং মামলা নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে কি না জানতে পৃথক কমিটি করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

Advertisement

এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ‘দ্য রেইন ট্রি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিএএইচ আদনান হারুন ও মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ফ্রাঙ্ক ফরগেট, বনানীর ওসি এবং ডিসিকে তলব করা হয়েছিল।

দ্য রেইন ট্রির লোকজন গেলেও বনানী থানার ওসি ও গুলশান বিভাগের ডিসি যাননি।

এআর/এমএমএ/জেআইএম