দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (কর্পোরেট ফিন্যান্স) উজমা চৌধুরী বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের ভালোবাসতে হবে। আমি আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নিজের সন্তানের মতো চিন্তা করি।
Advertisement
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
উজমা চৌধুরী বলেন, আর সবার আগে দেশ। আমি নিজে যতটুকু অর্জন করেছি ততটুকু আমার দেশকে দিতে চেয়েছি। তাই আমি বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসেছি। হাজার হাজার মানুষের কর্মক্ষেত্র তৈরিতে চেষ্টা করছি।
‘বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েটদের ক্যারিয়ার ভাবনা : প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক এ সেমিনারের যৌথ আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট ও ক্যারিয়ার বিল্ডার্স।
Advertisement
অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, বিস্ক ক্লাব ও আইএফআইসি ব্যাংক। জবস পার্টনার ছিল জাগো জবস। আর মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কম।
সেমিনারের সঞ্চালনায় ছিলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপ) ও ক্যারিয়ার বিল্ডার্সের পরিচালক কে হক। আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক সৈয়দ আব্দুল হামিদ, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জালালুল আজিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মিজানুর রহমান জোদ্দার প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, আমরা সবসময় নেগেটিভের মধ্যে ভুগী। কিন্তু মনে রাখা ভালো যে হতাশা কখনও সফলতা এনে দিতে পারে না। তাই গ্র্যাজুয়েশন শেষে হতাশায় না ভুগে কিছু করার চেষ্টা করতে হবে। চাকরি ধরেই আমরা বড় চাকরি পাব না। ছোট হলেও অভিজ্ঞতার জন্য চাকরি করা উচিত। কারণ এ অভিজ্ঞতা আপনাকে বড় চাকরি পেতে সহায়তা করবে।
বক্তারা আরও বলেন, আমাদের দেশে চাকরির সুযোগ কম। তাই আমাদের উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কারণ উদ্যোক্তা হলে নিজের সঙ্গে সঙ্গে দেশেরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থেকে সেবা করার সুযোগ থাকে। আর চাকরি সবসময় মামা-খালু দেখে দেয়া হয় তাও ঠিক নয়।
Advertisement
এমএইচ/বিএ/পিআর