বর্তমানে সৌদি আরবের বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রীদের দিক-নির্দেশনা দিতে সামনের সারিতে দেখা যায় দেশটির নারীদের। সব সেক্টরে আগ্রহী নারীদেরকে কাজের সুযোগ দিতে কর্তৃপক্ষ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ায় এটি সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মজীবী নারীরা।সৌদি আরবে ‘ভিশন ২০৩০’- এ নারীদের কাজের উন্নয়নের জন্য নাটকীয় কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দেশটির আরবি ভাষার জাতীয় সংবাদপত্র ‘আল-মদিনাহ ডেইলি’ কর্মজীবী নারীদের অভিজ্ঞতা জানতে বেশ কয়েকজন নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে। আসরার মুশি নামে এক নারী বলেন, বিমান শিল্পে বিশেষ করে বিমানবন্দরের মতো নতুন একটি সেক্টরে প্রথম সৌদি নারী হিসেবে কাজ করতে পেয়ে আমি গর্বিত। ‘আমাদের সক্ষমতা প্রমাণ করার জন্য এটি এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। পুরো বিশ্বের কাছে চ্যালেঞ্জ যে, আমাদেরকে সুযোগ দেয়া হলে আমরা সব ক্ষেত্রে সফল হতে পারি। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এটি এক ধরনের অসাধারণ কাজ; আমরা যাত্রী, দর্শনার্থীদের সেবা দিচ্ছি এবং তাদের সন্তুষ্ট করছি।’মাহি ফারহাত বলেন, এই উচ্চ পর্যায়ের কাজে অংশ নেয়া ও নিবিড় প্রশিক্ষণের সুযোগ দেয়ার জন্য আমি কোম্পানিকে কৃতজ্ঞতা জানাই। সৌদি নারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা প্রমাণ করার জন্য এটি বড় ধরনের অর্জন। আবরার সাইদি নামের এক নারী বলেন, আমরা সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া কাজের সুযোগ তৈরি করার জন্য আরাবিয়া গালফ এয়ার কর্তৃপক্ষকেও কৃতজ্ঞতা। আরাবিয়া গালফ এয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামের আব্দুল সালমান আল মাজালি বলেন, নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে কোম্পানি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ‘বিমানবন্দরে চলমান কর্মী’ নামে ১০ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমরা ২০১৭ সালের মার্চের শেষের দিকে এ সংখ্যা আরো বাড়ানোর জন্য কাজ করছি। এসআইএস/জেআইএম
Advertisement