জাতীয়

৩০ জুন ও ৪ জুলাইয়ের টিকিট শেষ

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সোমবার থেকে শুরু হওয়া অগ্রীম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনই দুই দিনের টিকিট বিক্রি সম্পন্ন করেছে কাউন্টার কর্তৃপক্ষ। ৩০ জুন ও ৪ জুলাইয়ের অগ্রীম টিকিট শেষ হয়েছে। এখন পাওয়া যাচ্ছে ১, ২, ৩ ও ৫ জুলাইয়ের টিকিট। তবে প্রথমদিনে খুব ভিড় থাকলেও মঙ্গলবার তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। বাস কাউন্টার কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দেশের উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বাসের অগ্রীম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৬০টির বেশি রুটে ঈদের অগ্রীম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে কল্যাণপুর ও শ্যামলী থেকেও কিছু বাস বেশ কয়েকটি রুটের টিকিট বিক্রি করছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সরেজমিনে কল্যাণপুর ও গাবতলীতে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্টারগুলো অনেকাংশে ফাঁকা। আগের দিনের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনতে হচ্ছে না। তবে ভালো মানের টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকটা বিরক্তি নিয়েই টিকিট কিনছেন যাত্রীরা। এসআর কাউন্টারের ম্যানেজার আমিন নবী জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের বাসের সব রুটের ৩০ জুন ও ৪ তারিখের টিকিট শেষ। এখন পাওয়া যাচ্ছে ১, ২, ৩ ও ৫ তারিখের টিকিট। তাছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের জন্য কিছু টিকিট সংরক্ষিত রয়েছে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে গাইবান্ধা রুটের পরিবহন আল হামরার ম্যানেজার জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের এখানে সব দিনেরই কিছু টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। তবে ৩০ জুন ও ৪ জুলাইয়ের চাপ বেশি থাকায় টিকিট প্রায় শেষ হওয়ার পথে। হানিফ পরিবহনের সহকারী ম্যানেজার গোপাল বাবু জানান, সরকারি ছুটি থাকায় ৩০ জুন ও ৪ জুলাইয়ের টিকিটের বিক্রি ছিল বেশি। সে কারণে টিকিট শেষ ওই দুইদিনের। তবে অন্যদিনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।এদিকে কল্যাণপুর ডিপজল বাস কাউন্টারের টিকিট মাস্টার আব্দুর সবুরও একই তথ্য জানান। নাবিল, শ্যামলী পরিবহন, ন্যাশনাল ট্রাভেলস-এর টিকিটের কাটতি বেশি থাকায় ৩০ ও ৪ তারিখের টিকিট শেষ বলে জানা গেছে। গেল সপ্তাহে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদের অগ্রীম টিকিট বিক্রি সোমবার থেকে শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গাবতলী, কল্যাণপুর ও শ্যামলীর বাসস্ট্যান্ডের যাত্রীদের গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে হচ্ছে। তবে সায়েদাবাদ ও মহাখালী থেকে অগ্রীম টিকিট দেয়া হবে না। অন্যদিকে আজ মঙ্গলবার ডিপজল, টিআর, দেশ ট্রাভেলস তাদের স্ব স্ব কাউন্টারে টিকিটি বিক্রি শুরু করেছে। বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ও শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ জাগো নিউজকে জানান, এবার শান্তিপূর্ণভাবে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এখনো ঘটেনি। টিকিট বিক্রিতে জালিয়াতির অভিযোগও এবার ওঠেনি। তবে অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি। ভাড়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় টিকিট বিক্রি হবে। নির্ধারিত বাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করলে সমিতির পক্ষ থেকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।জেইউ/একে/এবিএস

Advertisement