জাতীয়

বন্দর সংস্কারে মন্ত্রণালয়ে চিটাগাং মেট্রোপলিটন চেম্বারের ১২ দফা

বন্দর সংস্কারে মন্ত্রণালয়ে চিটাগাং মেট্রোপলিটন চেম্বারের ১২ দফা

চট্টগ্রাম বন্দর সংস্কারে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর ১২ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। ১৫ এপ্রিল সংগঠনটির সহ–সভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী সই করা চিঠিতে এ প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।

Advertisement

১২ দফা প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে– চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখের সার্কুলার নং ২/২৫ বাতিল করা, স্বৈর আমলের কালো আইন ‘রেগুলেশন ফর ওয়ার্কিং অব চিটাগং পোর্ট–২০০১’ এর ধারা ১৬০ প্রত্যাহার, পোর্ট অর্ডিন্যান্স–১৯৭৬ এর চট্টগ্রাম বন্দর অ্যাডভাইজারি কমিটি চট্টগ্রাম বন্দর আইন ২০২২ এ সংযোজন, ব্যাংক বন্ধ থাকলে ডেলিভারি বন্ধ, তাই চট্টগ্রাম বন্দর চার্জ ৭/২৪ ক্রেডিট কার্ড বা বিকাশ বা ক্যাশ অর্থ গ্রহণ ব্যবস্থা, মধ্যস্বত্ত্বভোগী বাদ দিয়ে বন্দরের নিবন্ধিত শ্রমিক দিয়ে চালান ডেলিভারি উন্মুক্ত করা, অন্য দেশের মতো স্থানীয় ব্যবহারকারীর জন্য বন্দর চার্জ টাকার নির্ধারণ, অব্যবহৃত জায়গায় ইয়ার্ড ও শেড নির্মাণের টেন্ডার করা, শনিবার বন্দর ভবনের ট্রাফিক শাখা ও জরুরি সেবা শাখা খোলা রাখা, একদিন পূর্বে কন্টেনার ইন্ডেন্ট দিয়ে দ্বিতীয় দিনে কনটেইনার ডেলিভারি না দিয়ে সিটিএমএস’র যথাযথ ব্যবহারে অনলাইন ইন্ডেন্ট নিয়ে একদিনেই কনটেইনার ডেলিভারি দেওয়া, বন্দরে ১০ হাজার অকশন কনটেইনার বাইরে স্থানান্তর এবং প্রতি শেডে চারজন শেড অপারেটর নিয়োগ দিয়ে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার আদেশ দেওয়া।

এ এম মাহবুব চৌধুরী বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর দেশের জাতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ড। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দরে সংস্কার করতে হবে। বিগত সময়ের ব্যবসায়ীদের স্বার্থবিরোধী আইন ও বিধিগুলোর সংস্কার করতে হবে। এজন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে ১২ দফা লিখিত প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। মৌখিকভাবে উপদেষ্টার সঙ্গে আমরা বন্দরের স্বার্থে কথা বলবো।’

এমডিআইএইচ/এমআরএম/জিকেএস

Advertisement