জাতীয়

শ্যামলীতে সাত ঘণ্টা ধরে অবরোধ, ভোগান্তিতে জনগণ

শ্যামলীতে সাত ঘণ্টা ধরে অবরোধ, ভোগান্তিতে জনগণ

আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও দলটি নিষিদ্ধসহ ৩ দাবিতে টানা ৭ ঘণ্টা ধরে রাজধানীর শিশুমেলা সংলগ্ন সড়ক আটকে রেখে আন্দোলন করছেন জুলাই আন্দোলনে আহতরা। ফলে শ্যামলী থেকে আগারগাঁওমুখী ও আগারগাঁও থেকে শিশুমেলামুখী সড়কে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ।

Advertisement

শনিবার (১০ মে) দুপুর ১টার পরপরই সড়ক অবরোধ করেন তারা। পরে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ রাজধানীর শিশুমেলা ঘুড়ে সড়ক অবরোধের এমন চিত্র দেখা গেছে। এসময় আনুমানিক ১৫-২০ জন আন্দোলনকারী সড়কে ব্যরিকেড দিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন।

এসময় আন্দোলনকারীদের ব্যরিকেড দিয়ে সড়কে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। ফলে আগারগাঁও থেকে শ্যামলীমুখী গণপরিবহনগুলোকে আগারগাঁও থেকে রেডিও সেন্টারের সামনে দিয়ে ঘুরিয়ে নিতে দেখা গেছে।

মহাখালী থেকে গাবতলীগামী যাত্রী মেহেদী বলেন, দুপুর থেকে আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলনের কারণে যাওয়ার সময় একবার কল্যাণপুর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত হেঁটে যেতে হয়েছে। এখন আবার হেঁটে যেতে হবে। এদের কারণে রাস্তায় বের হওয়ারও উপায় নেই।

Advertisement

এছাড়াও যান চলাচল বন্ধে দীর্ঘ যানজটে সাধারণ মানুষকে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে রওনা দিতে দেখা গেছে।

আবু জাফর নামের পল্টনগামী এক যাত্রী বলেন, দুইদিন পরপর কিছু হলেই রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন। দেশটা কি মগের মুল্লুক? এমনভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ কীভাবে চলাচল করবে? মানুষের প্রয়োজনীয় কাজ থাকে না?

মাহবুব শেখ নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, সাধারণ মানুষের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। আন্দোলনের নামে সড়ক বন্ধ করে যা শুরু করেছে এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো না। আমরা কি এ দেশের মানুষ না? দেশটা কি শুধুই তাদের?

এর আগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার (৭ মে) রাত ১০টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। পরে সেখানে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ দলটির শীর্ষ নেতারা।

Advertisement

এছাড়া জামায়াত, ছাত্রশিবির, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, ইনকিলাব মঞ্চ, আপ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ওইদিন রাতেই যমুনার সামনে যান। পরে শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে যমুনা সংলগ্ন এলাকায় মঞ্চ বানিয়ে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ তিন দফা দাবি-

১. আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে।

২. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে।

৩. জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।

কেআর/এএমএ/জেআইএম