প্রথম লেগের ফল দেখেই অনেকে ধরে নিয়েছেন, প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) আটকানোর আর সুযোগ নেই অ্যাস্টন ভিলার। কারণ, হারের ব্যবধানটাই একটু বেশিই হয়ে গিয়েছিল, ৩-১। তবে ফুটবলে যেকোনো কিছুই হতে পারে। ফিরতি লেগ নিজেদের মাঠে হবে বিধায় বাড়তি আত্মবিশ্বাস ছিল এমিলিয়ানো মার্টিনেজদের দল ভিলার।
Advertisement
মঙ্গলবার ঘরের মাঠ ভিলা পার্কে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মরণ কামড় দিয়েছে ভিলা। তাতেও পিএসজির সেমিফাইনালে যাওয়া আটকাতে পারেনি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটি। ফিরতি লেগে ভিলার কাছে ৩-২ গোলে হারলেও দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে সেমিতে চলে গেছে ফরাসি লিগ ওয়ানের ক্লাব পিএসজি।
প্রথম লেগে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা পিএসজি মনে হচ্ছিল ম্যাচটা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে প্রথমার্ধেই। দুই ফুলব্যাক আশরাফ হাকিমি ও নুনো মেন্ডেস দুর্দান্ত দুটি কাউন্টার-অ্যাটাক থেকে গোল করে ভিলা পার্ক স্টেডিয়ামের দর্শকদের স্তব্ধ করে দেন।
পিএসজি প্রথমে আঘাত হানে ১১ মিনিটে। যখন হাকিমি ভিলার নির্ভরযোগ্য গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের হাতে লাগা বল থেকে সহজেই জালে পাঠান। ১৬ মিনিট পর মেন্ডেস রেকটি ঝড়ো কাউন্টার-অ্যাটাকে পোস্ট ঘেঁষে দুর্দান্ত শটে ভিলার জাল কাঁপান।
Advertisement
দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে পিছিয়ে গেলেও ভিলা ছিল আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, বিশেষ করে তাদের ঘরের মাঠে। কেননা নিজেদের মাঠে টানা ১৭ ম্যাচ অপরাজিত ছিল ভিলা। আবার ফর্মের চূড়ায় থাকা পিএসজির বিপক্ষে এ ম্যাচের শুরুতেই তারা কর্নার থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করে।
ইউরি টিলেমানস ৩৪ মিনিটে একটি ডিফ্লেক্টেড শটে গোল করে ভিলার আশা জাগান।
টিলেমানসের প্রথমার্ধের গোল দেখে মনে হয়নি ম্যাচে কোনো নাটকীয় পরিবর্তন আসবে। কিন্তু সেটাই ভিলাকে অনুপ্রাণিত করে দ্বিতীয়ার্ধে ঝড় তোলার জন্য। ৫৫ মিনিটে জন ম্যাকগিন বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোল করেন, যা একটি সামান্য ডিফ্লেকশনে জালে ঢুকে যায়।
এরপর ৫৭ মিনিটে এজরি কনসা ভিলার হয়ে তৃতীয় গোল করেন মার্কাস র্যাশফোর্ডের দুর্দান্ত ড্রিবলিং ও অ্যাসিস্ট থেকে।
Advertisement
আর মাত্র একটি গোল হলেই স্কোরলাইন ৫-৫ করে ফেলতো ভিলা। কিন্তু পিএসজির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডনারুম্মা একে একে র্যাশফোর্ড, টিলেমানস এবং বদলি খেলোয়াড় মার্কো অ্যাসেনসিওকে প্রতিরোধ করে দেন।
পিএসজির অধিনায়ক মারকুইনহোস বলেন, ‘অ্যাস্টন ভিলা আমাদের জন্য ম্যাচটা কঠিন করে তুলেছিল, কিন্তু আমরা আমাদের কাজটা করেছি। এই টুর্নামেন্টটা অনেক কঠিন, কিন্তু আমরা দিনে দিনে উন্নতি করছি এবং প্রমাণ করছি আমরা সত্যিই ভালো একটি দল। সেমিফাইনালটা কঠিন হবে—আর্সেনাল হোক বা রিয়াল মাদ্রিদ—কিন্তু আমাদের মধ্যে বিশ্বাস আছে যে এই পিএসজি দল শিরোপা জিততে পারে।’
এজরি কনসা বলেন, ‘ছেলেদের নিয়ে গর্বিত। আজকের পারফরম্যান্সে আমরা দারুণ লড়াই করেছি। শুরুতে যে দুটি গোল খেয়েছিলাম, ওগুলো আমাদের অনেকটা পিছিয়ে দেয়। কিন্তু আমরা দারুণ মানসিকতা দেখিয়েছি, ফিরে এসেছি খেলায়। দুর্ভাগ্যবশত সেটা যথেষ্ট ছিল না।’
এমএইচ/এমএস