ব্যবসার লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ না দেওয়ায় ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী ও তার ভাইকে জুলাই আন্দোলনে শ্রমিক হত্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর ভাই আবু সাঈদ এই অভিযোগ করেন। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকার হরিরবাড়ী গ্রামে।
আবু সাঈদ বলেন, ‘আমার ভাই সাইফুল ইসলাম জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভালুকা উপজেলা নেতা ছিলেন। এখন ভালুকা যুবদলের সক্রিয় নেতা। সাইফুল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জীবন বাজি রেখে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। সেসময় মাস্টারবাড়ীতে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক নির্মাণশ্রমিক শহীদ হন। আমরা তোফাজ্জল হত্যার পর থেকে তার বিচারের দাবিতে রাজপথে সরব ছিলাম। কিন্তু ২১ মার্চ তোফাজ্জল হত্যার ঘটনায় মামলা হলে সেখানে আমাকে ও আমার ছোট ভাইকে আসামি করা হয়। আর এই কাজ করেছেন ওয়ার্ড যুবদল নেতা শরিফ, যিনি কি না বাউন্ডারি শহিদ ও মোর্শেদ গ্রুপের ক্যাডার।’
আরও পড়ুন
Advertisement
আবু সাঈদ আরও বলেন, ‘আমার ভাই সাইফুল ইসলাম রাইদা কালেকশন লিমিটেডের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন। উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোর্শেদ আলম ও যুগ্ম আহ্বায়ক বাউন্ডারি শহিদ ওই প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ দাবি করেন। তা না দিলে ফ্যাক্টরি থেকে কোনো মালামাল এমনকি ময়লা পর্যন্ত বাইরে বের করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়। তাদের বখরা (লভ্যাংশ) না দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। মূলত সে কারণেই ২১ মার্চ আমার ভাইয়ের নামে মামলা করে।’
ভুক্তভোগী এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘আগেও তোফাজ্জেল হত্যার ঘটনায় মামলা হয়, তবে সেখানে সাইফুলের নাম ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে সাইফুলের নাম আসায় আমরা অবাক হয়েছি। এখন আমি ও আমার পরিবারের লোকজন চরম কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। তাদের ভয়ে নিজের বাড়িতে থাকার সাহস পাচ্ছি না। আমাকে ও আমার ছোট ভাইকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে।’
টিটি/ইএ/এমএস
Advertisement