ঈদের ছুটিতে কুয়ালালামপুরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নথিবিহীন অভিবাসীদের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ। কেএলসিসি, জালান সিলাং, কোতারায়া, বুকিত বিনতাং ও চৌকিতসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিশেষ টহল পরিচালনা করছে ইমিগ্রেশন।
Advertisement
সোমবার (৩১ মার্চ) কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সাউপি ওয়ান ইউসুফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইমিগ্রেশনের কর্মীরা রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে সর্বদা প্রস্তুত। প্রয়োগমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি, টহল কার্যক্রম ও নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এটি শুধু জনসাধারণের নিরাপত্তা বাড়াতে নয় বরং অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করতেও সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন মালয়েশিয়ায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল কুয়ালালামপুরে নতুন ঠিকানায় বাংলাদেশ হাইকমিশনকেএলসিসি এলাকায় ইমিগ্রেশন বিভাগের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বিদেশি নাগরিকদের উপস্থিতি অন্যান্য বছরের তুলনায় তুলনামূলক কম হলেও, বিশেষ কিছু এলাকায় জনসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।
ডিরেক্টর বলেছেন, অভিযানে ৬০৯ অভিবাসীর কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৩৩৫ জন বাংলাদেশি, ১২৭ জন ইন্দোনেশিয়ান, ৮৮ জন ভারতীয়, ৩৮ জন চীনা এবং ২১ জন ফরাসি, দক্ষিণ কোরিয়ান ও ব্রিটিশ নাগরিক রয়েছেন। তবে এই অভিযান শুধু বিদেশিদের বিতাড়নের উদ্দেশ্যে নয় বরং এটি বিশেষভাবে লক্ষ্য করছে যাদের বৈধ ভ্রমণনথি নেই এবং যারা অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করছেন। অবৈধ বিদেশি কর্মী নিয়োগে জড়িত নিয়োগকর্তারাও নজরদারির আওতায় রয়েছেন।
Advertisement
অভিযান চলাকালীন বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা জনসাধারণের মধ্যে নিরাপত্তার অনুভূতি জোরদার করলেও এ অভিযানে কাগজপত্রের যাচাইয়ের পর কাউকে আটক করেছে কি না তা জানায়নি ইমিগ্রেশন বিভাগ।
বিএ/এএসএম