জাতীয়

শহীদ পরিবারের দুটি দাবির একটি বাস্তবায়ন, আরেকটি চলমান

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শহীদ পরিবারের দুটি মূল দাবি ছিল। একটি বিচারের দাবি আরেকটি শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করা। আমরা শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করেছি এবং এবার শহীদ সেনা দিবস হিসেবেই পালিত হচ্ছে।

Advertisement

তিনি বলেন, বিচারের জন্য আমরা দায়িত্ব নিয়েই কমিশন গঠন করেছি। কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীস্থ সামরিক কবরস্থানে শায়িত পিলখানায় শহীদ সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আজ শহীদ সেনা দিবস। এদিন ৫৭ জন অফিসার শাহাদতবরণ করেন। বিডিআরসহ মোট ৭৪ জন শহীদ হন। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। এবার থেকে শহীদ সেনা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

Advertisement

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হত্যা মামলায় যাদের সাজা হয়েছিল তাদের মধ্যে বিস্ফোরণ মামলায় সাজা ভোগের পরেও জেলে ছিল। তাদের অনেকেরই জামিন হয়েছে। আরও থাকলে আদালত তাদের জামিন দেবেন।

আরও পড়ুন

জাতীয় শহীদ সেনা দিবস আজ আইনশৃঙ্খলা উন্নতিতে বাহিনীর কারও বিরুদ্ধে গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা কমিশনের পর কমিশন হয় প্রশাসন থাকে সেই তিমিরেই

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ কেন এই দিন শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করেনি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ১৫ বছর কেন শহীদ সেনা ঘোষণা করেনি এটা আমার পক্ষে বলা সম্ভব না। সঠিক বিচারের জন্য তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।

বিচারের নামে টালবাহানা হয়েছে গত ১৫ বছর ভবিষ্যতে এমন হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই ধরনের প্রশ্ন আপনারা (সাংবাদিকরা) করতে পারছেন? এই ধরনের প্রশ্ন তো করতে পারেননি। আমাদের এখন স্বাধীনভাবে প্রশ্ন করতে পারেন। গত ১৫ বছরে যে ঘটনাগুলো ঘটছে আপনারা মিডিয়া দিতেও পারেননি। আপনাদের ইচ্ছা ছিল কিন্তু প্রকাশ করতে পারেননি। তবে এখন আপনারা প্রকাশ করতে পারেন।

Advertisement

দেশের সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সফলতা এবং ব্যর্থতা আপনারা বেশি বলতে পারবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতর যদি কোনো গাফিলতি থাকে আমি তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। এখানে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশ, বিডিআর, র্যাব কিংবা আনসার যারা গাফিলতি করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সত্যি সংবাদ প্রকাশ করেন এরপর দেখেন আমরা অ্যাকশন নেই কি না। সম্প্রতি দুই এসপিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর আমরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নিয়েছি।

টিটি/এমআরএম/এমএস