জাতীয়

তৃতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা: মুসল্লিদের যাতায়াতে ডিএমপির নির্দেশনা

আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমা-২০২৫ এর তৃতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমায় বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন।

Advertisement

বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে এবং সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার স্বার্থে ১৪ দফা নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যেসব বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি

Advertisement

১. আখেরি মোনাজাতের দিন (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা থেকে রেডিসন ব্লু থেকে খিলক্ষেত, এয়ারপোর্ট, আব্দুল্লাহপুর হয়ে কামারপাড়া পর্যন্ত মহাসড়কটি যানবাহনের চালকদের পরিহার করে চলাচলের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

২. আখেরি মোনাজাতের দিন (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা থেকে উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী, বিমান অপারেশনাল যানবাহন ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব যানবাহনের চালক বিমানবন্দর সড়ক (ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক) পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করবেন।

আরও পড়ুন ইজতেমা ময়দান বুঝে নিলেন সাদপন্থিরা 

৩. আখেরি মোনাজাতের দিন (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহন আব্দুল্লাহপুর, ধউড় ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে।

৪. অনুরূপভাবে নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ হতে আগত যানবাহন কামারপাড়া/আব্দুল্লাহপুর ক্রসিং পরিহার করে সাভার, গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে অথবা ধউড় ব্রিজ ক্রসিং হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।

Advertisement

৫. ঢাকা থেকে এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে আগত যানবাহনগুলো রেডিসন-ব্লু দিয়ে ইউটার্ন করে অথবা কুড়িল ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে প্রগতি সরণি হয়ে চলাচল করবে।

৬. আখেরি মোনাজাতের দিন (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা থেকে ৩০০ ফিট দিয়ে আগত যানবাহন কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২ (এয়ারপোর্টগামী) পরিহার করে প্রগতি সরণি এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ (কাকলী-মহাখালীগামী) ব্যবহার করবেন। কোনোভাবেই বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করা যাবে না।

৭. আখেরি মোনাজাতের দিন (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা/এয়ারপোর্টগামী এক্সিট পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

৮. ঢাকা মহানগর থেকে যেসব মুসল্লি পায়ে হেঁটে বিশ্ব ইজতেমাস্থলে যাবেন, তাদের তুরাগ নদীর ওপরে নির্মিত পল্টুন ব্রিজ অথবা কামাড়পাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াত করবেন।

৯। আখেরি মোনাজাতের দিন বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য পদ্মা ইউলুপ হতে ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের জন্য পরিবহন (ফ্রি) সেবা প্রদান করা হবে।

১০. নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লীবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক/হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং বহনকারী যাত্রীরা ও চালক একে-অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়।

১১. মুসল্লিবাহী প্রতিটি যানবাহনের দৃশ্যমান স্থানে চালকের নাম এবং মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান থাকতে হবে।

১২. ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ফ্লাইওভারের নিচে আব্দুল্লাহপুর বেইলি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার কারণে সব যানবাহন চালকদের আজমপুর থেকে ফ্লাইওভার ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

১৩. সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে জনসাধারণকে পায়ে হেঁটে ফ্লাইওভার দিয়ে পারাপার না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

১৪. খিলক্ষেত হতে আব্দুল্লাপুর হয়ে ধউড় ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্বে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।

বিভাগ অনুযায়ী যেসব নির্ধারিত জায়গায় গাড়ি পার্কিং করতে হবে-

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে সম্মানিত ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।

ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের যানবাহন কিছু স্থানে (বিভাগ অনুযায়ী) যথাযথভাবে পার্কিং করবেন-

১. ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ পার্কিং: ১৫ নম্বর সেক্টর এলাকাধীন কদমতলী মার্কেট, ৫ নম্বর ব্রিজের ঢাল এবং ১৭ নম্বর সেক্টর উলুদাহ মাঠ।

২. সিলেট ও খুলনা বিভাগ পার্কিং: উত্তরাস্থ ১৫ নম্বর সেক্টর লেকপাড় মাঠ।

৩. রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং: ১০ নম্বর ব্রিজ এবং ১১ নম্বর ব্রিজ লেকের পশ্চিম পার্শ্ব, ১৬ নম্বর সেক্টরের ভিতরে এবং বউবাজার মাঠ।

৪. বরিশাল বিভাগ পার্কিং: ধউড় ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন।

৫. ঢাকা মহানগরী পার্কিং: ৩০০ ফিট রাস্তা সংলগ্ন স্বদেশ প্রপার্টির খালি জায়গা।

ডাইভারশন সংক্রান্ত তথ্য

ডাইভারশন পয়েন্টগুলো (শুধু আখেরি মোনাজাতের দিন অর্থাৎ ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি ভোর ৪টা থেকে):

ডাইভারশন স্থান: ধউড় ব্রিজ, ১৮ নম্বর সেক্টর পঞ্চবটী ক্রসিং, পদ্মা ইউলুপ, ১২ নম্বর সেক্টর খালপাড়।

টিটি/এমএইচআর/জিকেএস