যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডি-এর জন্য সরাসরি নিযুক্তদের ছুটি ও বিদেশে কাজ করা হাজার হাজার কর্মীকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
Advertisement
ইউএসএআইডি-এর ওয়েব সাইটে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী সরাসরি নিযুক্ত কর্মীদের শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হবে।
কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস (সিআরএস) এর তথ্য অনুযায়ী ইউএসএআইডি-এর মোট কর্মীর সংখ্যা দশ হাজারের বেশি, যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কর্মী বিদেশে কাজ করে। সংস্থাটির ৬০টিরও বেশি দেশ ও আঞ্চলিক মিশন রয়েছে।
আরও পড়ুন>
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডি বন্ধের ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশসহ গোটা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়ন সহযোগিতা পরিকল্পনাকে বড় অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে।
এশীয় উন্নয়ন সংস্থার একজন ওয়াশিংটন প্রতিনিধি বলেন, এটি এতটা আকস্মিক হয়েছে যে, আমরা হতবাক। বাইডেন প্রশাসনের ইন্দো-প্যাসিফিক নীতির অন্যতম স্তম্ভ ছিল মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে উন্নয়ন নীতি সমন্বয় করা।
যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা বন্ধের কারণে আফগানিস্তানে ২০২৮ সালের মধ্যে গর্ভকালীন এবং সন্তান জন্মদানের সময় বিভিন্ন জটিলতায় এক হাজারের বেশি নারীর মৃত্যু হতে পারে। জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে সতর্ক করেছে।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএফপিএ) এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পিও স্মিথ বলেন, অবশ্যই আমরা এ বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
Advertisement
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউএসএআইডির কার্যক্রম স্থগিত হলে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম