অত্যাধুনিক রিভলবার ও শটগানসহ মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান ওরফে হান্নানকে (৬৩) গ্রেফতার করেছে ডিএমিপির ডিবি মিরপুর বিভাগ।
Advertisement
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডির ২৮ নম্বর রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে হান্নানকে ডিবি মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিম গ্রেফতার করে।
পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শাহবাগ থানাধীন বাংলামোটর এলাকার প্লেনার্স টাওয়ারে অভিযান পরিচালনা করে একটি অত্যাধুনিক রিভলবার, রিভলবারের ৯৫ রাউন্ড গুলি, একটি শটগান ও শটগানের ৮০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
অভিযানের বিষয়ে ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির টিম জানতে পারে, ধানমন্ডির ২৮ নম্বর রোডের একটি বাসায় মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মুশফিকুর রহমান খান ওরফে হান্নান আত্মগোপন করে আছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাসায় অভিযান পরিচালনা করে ডিবি-মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিম। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হান্নানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাংলামোটর এলাকার প্লেনার্স টাওয়ারের ১৪ তলায় তার নিজ অফিস থেকে ব্রাজিলে তৈরি একটি অত্যাধুনিক এনপিবি রিভলবার, দশমিক ২২ বোরের ৯৫ রাউন্ড রিভলবারের গুলি, ইতালির তৈরি দশমিক ১২ বোরের একটি শটগান, ৮০ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ, শটগানের একটি অতিরিক্ত বাট এবং রিভলবার ও শটগানের দুটি লাইসেন্স উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার হান্নানের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানান ডিসি তালেবুর রহমান।
হান্নান মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার হত্যা, হত্যা চেষ্টা ও নাশকতার চারটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। হান্নানের কাছে থাকা এনপিবি রিভলবারের লাইসেন্সে ৯৭ রাউন্ড গুলির অনুমোদন থাকলেও ডিবির কাছে ৯৫ রাউন্ড গুলি উপস্থাপন করে। অবশিষ্ট দুই রাউন্ড গুলির বিষয়ে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি তিনি।
Advertisement
গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত স্থানে আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করলে তা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
টিটি/ইএ/এএসএম