ভোলার মাদরাসাশিক্ষক মাওলানা মুহিবুল্লাহ উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও মুক্তি না দেওয়ার প্রতিবাদে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে।
Advertisement
‘বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলন’ ব্যানারে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে বিকেল সোয়া ৪টায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। মহিবুল্লাহ ভোলার সদর থানার চরসিফলি গ্রামের আব্দুর রব মাস্টারের ছেলে।
আন্দোলনকারীরা জানান, ভোলার একটি মাদরাসার জনপ্রিয় শিক্ষক মাওলানা মুহিবুল্লাহ। ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ বিলাইছড়ি থানার সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় গ্রেফতার হন। ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। তার বিরুদ্ধে ডেমরা থানা ও বিলাইছড়ি থানায় আরও দুটি মামলা ছিল। ওই দুই মামলায় আগেই জামিন পান মুহিবুল্লাহ।
হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর জামিনের কাগজপত্র চারদিন আগে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। জামিনের কাগজ পাওয়ার পরও তাকে মুক্তি না দিয়ে আটকে রাখে কারা কর্তৃপক্ষ। তার মুক্তি না দেওয়া এবং আটক রেখে জেলার ও জেল সুপার কর্তৃক আদালতের রায় অবমাননার প্রতিবাদে বেলা ১১টা থেকে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন কিছু ব্যক্তি।
Advertisement
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ চলাকালীন প্রিজন ভ্যান, অ্যাম্বুলেন্স ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। কারাগারের মুল ফটকের সামনেই তারা নামাজ আদায় করেন। একপর্যায়ে বিকেল ৪টার দিকে মাওলানা মুহিবুল্লাহকে মুক্তি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
মুক্তির পর মাওলানা মুহিবুল্লাহ বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘কারাগারে সাবেক জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করেছেন। তাকে নাকি রাখা হয়েছিল আমাদের নির্যাতন করার জন্য। এত কিছুর পরও তাকে বদলি করা হয়েছে, সেটি কি যথেষ্ট? চাকরিচ্যুত করে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি জানাই।’
মানববন্ধনে বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বলেন, জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছার পর ২৪ ঘণ্টার বেশি আটকে রাখার সুযোগ নেই। মাওলানা মুহিবুল্লাহকে নিয়েই আমরা বাড়ি ফিরেছি। আমাদের আন্দোলনের মুখে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের নিয়মের মধ্যে থেকেই কাজ করতে হয়। জামিনের কাগজ পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আমিনুল ইসলাম/এসআর/এমএস
Advertisement