কুমিল্লায় নিহত যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও বড় ভাইসহ পরিবারের পাঁচ সদস্য সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
Advertisement
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসে জিওসির অফিস কক্ষে তারা সাক্ষাৎ করেন।
এসময় তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন জিওসি। তিনি বলেন, এরইমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে। তৌহিদের পরিবার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার বিষয়ে সেনাবাহিনী সব সময় পাশে থাকবে ও সকল প্রকার সহযোগিতা করবে।
তৌহিদুলের বড় ভাই আবুল কালাম আজদ টিপু বলেন, সোমবার রাতে তৌহিদের স্ত্রীসহ আমরা পাঁচজন দেখা করি। বৈঠকে আমরা অনুরোধ করেছি যারা প্রতারণার মাধ্যমে তৌহিদের বিরুদ্ধে সেনাক্যাম্পে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে তারাসহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে যেন দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
Advertisement
গত ৩০ জানুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে যৌথবাহিনী পরিচয়ে তৌহিদুল ইসলামের কাছে অস্ত্র আছে এমন অভিযোগে তাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন গোমতী নদীর পাড় থেকে তাকে উদ্ধার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে তৌহিদের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি পাঁচথবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে একটি শিপিং এজেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/জিকেএস
Advertisement