বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি স্মার্ট কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর মানিক মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন হয়।
ভুক্তভোগীরা বলেন, টিসিবির স্মার্ট কার্ড বিতরণে অনিয়ম হয়েছে। স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তালিকা করা হয়েছে। সেই তালিকা বাতিল করে অবিলম্বে প্রকৃত অসহায় পরিবারের সদস্যদের নামে টিসিবির কার্ড তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এদিকে কার্ড বাতিলের দায় নিতে চাইছে না টিসিবি ও বরিশাল সিটি করপোরেশন। টিসিবি দাবি করেছে, সিটি করপোরেশন ভুল তথ্য দেওয়ায় ৯০ হাজার কার্ডের মধ্যে সাড়ে ৫৮ হাজার বাতিল হয়েছে। অপরদিকে বিসিসি বলেছে, কার্ড বাতিল করেছে টিসিবি।
Advertisement
নগরী ঘুরে দেখা গেছে, ফ্যামিলি কার্ড বাতিল হওয়ায় নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অস্থায়ী কাউন্সিলর কার্যালয়ে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা।
বরিশাল নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাফেজা বেগম বলেন, এর আগে তার নামে টিসিবি ফ্যামিলি কার্ড বরাদ্দ ছিল। যা এবার স্মার্ট কার্ড হিসেবে নতুন তালিকায় বাতিল হয়।
এখন তিনি তেল-চিনি পাবেন কি না, সেই চিন্তায় দিশেহারা। রোজায় কীভাবে চলবে সংসার—এটাই এখন হাফেজার বড় চিন্তা। বরিশাল নগরের প্রায় সাড়ে ৫৮ হাজার মানুষের ফ্যামিলি কার্ড বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিসিবির বরিশালের সহকারী পরিচালক শতদল মণ্ডল বলেন, কেন বরিশাল নগরীতে প্রায় সাড়ে ৫৮ হাজার কার্ড বাতিল হলো, তা সিটি করপোরেশন জানে। আমরা তথ্য দেইনি। জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন তথ্য দিয়েছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, কার্ডগুলো বাতিল তো টিসিবিই করেছে। তবে কেন বাতিল হলো, তথ্যে কি ত্রুটি ছিল, তা দেখবে সিটি করপোরেশন। তথ্যে যদি ভুল থাকে তাহলে টিসিবির কি করার আছে? তবে যাদের কার্ড বাতিল হয়েছে, তারা নতুন করে তথ্য সাবমিট করলে যে শূন্যস্থান আছে, সেখানে নতুন করে উপকারভোগী নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী বলেন, কার্ড বাতিলের বিষয়ে করপোরেশনের কোনো দায় নেই। এটা টিসিবির বিষয়। তবে পরবর্তী সময়ে যখন নতুন করে উপকারভোগীদের কার্ড প্রদান করা হবে, তখন বাতিল হওয়ারা আবেদন করতে পারবেন।
শাওন খান/জেডএইচ/জিকেএস