রাজশাহীতে বক আর বুনোহাঁস খাওয়ার ভিডিও প্রচার করায় দুই কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের নামে মামলা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন, আল-আমিন সোহাগ ও তুলি।
Advertisement
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ মামলা হয়। মামলাটি করেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তান কার্যালয়ের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহীর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির।
মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, কানিবক ও পাতি সরালি নামক দুই প্রকারের অতিথি পাখি জবাই করে রোস্ট করে খাওয়ার ৩৩ সেকেন্ড ও ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিও প্রকাশ করেন দুই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আল-আমিন ও তুলি।
সেই ভিডিওয়ের বিষয়ে ফরেস্ট ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর কবিরকে অবগত করা হলে তিনি সব প্রকার প্রমাণ সংগ্রহ করে আদালতে মামলা করেন।
Advertisement
মামলার বিষয়ে বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, সোমবার ৩ ফেব্রুয়ারি মামলা হয়েছে। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। আইন অনুযায়ী তাদের বিচারকার্য চলবে এবং আমরা সর্বোচ্চ সাজা আশা করছি।
এদিকে ভিডিওতে আল-আমিনকে বক হাতে নিয়ে বলতে দেখা যায়, ‘আমার বাসায় স্পেশাল মানুষজন আসবে। তাদের জন্য পাখি নিয়ে আসা হইছে। বকপাখি। সুন্দর সুন্দর দেখতে সাদা সাদা বক। বাট মাংস কম।’
এসময় আল–আমিন তার মাকে বলেন, ‘আম্মা, এগুলো কাকে খাওয়াবেন?’ তার মা বলেন, ‘এগুলো জামাইকে খাওয়াব।’ আল–আমিন আবার প্রশ্ন করেন, ‘আস্ত আস্ত রোস্ট করে খাওয়াবেন, না কেটে কেটে খাওয়াবেন?’ মা বলেন, ‘রোস্ট করে খাওয়াব।’
এসময় আল–আমিন দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘বকের রোস্ট হবে আমাদের বাসায়, গাইজ। তোমরা চলে আইসো রোস্ট খাইতে।’
Advertisement
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তুলি মুরগির ঘর থেকে বুনোহাঁস বের করতে করতে বলছেন, ‘আমার বাপে বিলেত থেইক্যা কি ধইরা নিয়াসছে দেখেন।’ এসময় ভিডিওতে আরেকটি মেয়েকে বলতে শোনা যায়, ‘কী এটা?’ জবাবে তুলি বলেন, ‘এটা হাঁসপাখি।’
এসময় পা বাঁধা হাঁসটি হাত থেকে ছোটার জন্য ছটফট করতে থাকে।
সাখাওয়াত হোসেন/জেডএইচ/এএসএম