তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকা অবরোধ করে রেখেছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতের দিকে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলেও এখন পর্যন্ত ঢাকার সঙ্গে দেশের বেশিরভাগ জেলার রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা, যাদের বেশিরভাগই অবস্থান করছেন স্টেশনের প্লাটফর্ম এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে তাদের মধ্যে বিরক্তি ও ক্ষোভ দেখা গেছে।
Advertisement
সোমবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র৷
যাত্রীরা বলছেন, সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে এমন কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের পালন করা উচিত নয়৷ আন্দোলনের কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নারী ও শিশুরা। স্টেশন এলাকায় যাত্রীরা আন্দোলন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের যাত্রী আমান বলেন, বিকেল থেকে বসে আছি, ট্রেন ছাড়ার খবর নেই। ট্রেন ছাড়বে কীভাবে? ছাত্ররা রেললাইন অবরোধ করে বসে আছে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কোনো মানে হয়? বিকেল থেকে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে গেছি।
Advertisement
আরেক যাত্রী মুন্নি বলেন, সেই বিকেল থেকে স্টেশনে। বাচ্চাটাকে নিয়ে বিপদে পড়েছি। খুব কান্নাকাটি করছে। এভাবে আর কতক্ষণ বসে থাকতে হবে জানি না। এই ভোগান্তির শেষ কোথায়?
স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, রেললাইন অবরোধের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। কমলাপুর প্লাটফর্মে ৮টি ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় আছে। এছাড়া অন্য ট্রেন এখনও ঢাকায় ঢুকতে পারেনি। ট্রেন চলাচল শুরু হলে শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন ছাড়া হবে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
এর আগে সোমবার বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে মহাখালীতে রেললাইন অবরোধ করেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় রেললাইনেই কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস আটকে যায়। পরে ট্রেনটি আবার উল্টো পথে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়৷
এনএস/এএমএ
Advertisement