সিলেটে সরস্বতী পূজামণ্ডপে ঘুরতে আসা নিষিদ্ধ সংগঠন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এক চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে।
Advertisement
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে এ ঘটনা ঘটে। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধারের পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মারধরের শিকার ওই চিকিৎসকের নাম সজল এস চক্রবর্তী। তিনি এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্যাথলজি বিভাগে কর্মরত।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে সজল এস চক্রবর্তী সরস্বতী পূজা দেখতে যান। পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে কলেজের মূল ফটকের কাছাকাছি পৌঁছালে কলেজের কিছু শিক্ষার্থী তাকে আটক করেন। পরে তাকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে কলেজের জিয়া ছাত্রাবাসে নিয়ে যানি শিক্ষার্থীরা। সেখানে নিয়েও তাকে বেধড়ক পেটানো হয়।
খবর পেয়ে কলেজ প্রশাসন ছাত্রাবাসে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে মাইক্রোবাসে করে কলেজ হলরুমে নিয়ে আসে। পরে মুচলেকা নিয়ে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
একটি সূত্র জানায়, ডা. সজল দাস বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে কর্মরত। ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত তিনি কলেজ ছাত্রাবাসেই থাকতেন। বর্তমানে তিনি অন্যত্র থাকেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
Advertisement
তবে ডা. সজল এস বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে কর্মরত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ডা. সজল কয়েক মাস আগে এই হাসপাতালে যোগদান করেছেন। তবে তাকে মারধরের বিষয়টি তিনি অবগত না বলে জানান।
আহমেদ জামিল/এসআর/এএসএম