মুন্সীগঞ্জে একটি তেলবাহী জাহাজ থেকে ফার্নেস অয়েল লুটের সাতদিন পর সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ২৬০ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। যার বাজার মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। একই সঙ্গে লুণ্ঠিত ফার্নেস অয়েল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি বাল্কহেড ও পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে চৌহালী উপজেলার চরছলিমাবাদ এলাকার ভূতের মোড় নৌঘাট নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে এই অভিযানে অংশ নেন নারায়নগঞ্জ নৌ পুলিশ সুপার সোহেল রানা, চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফ হোসেন ও মুন্সীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরান হাসান।
গ্রেফতাররা হলেন- বরগুনা জেলার সড়কগাছিয়া গ্রামের হানিফের ছেলে সুমন সেখ (২৩), খাগবুনিয়া গ্রামের চান খাঁর ছেলে রিয়াজ খাঁ (২২), লাকুরতলা গ্রামের দেলোয়ারের ছেলে মোহাম্মদ ফেরদৌস (২২), নারায়ণগঞ্জ জেলার চর ধলেশ্বরী গ্রামের আব্দুল বেপারীর ছেলে ইসলাম (৩৯) ও একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ আমজাদ তপু (২৬)।
Advertisement
রাত ১০টার দিকে চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফ হোসেন জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা মোহনায় ওটি বিন জামান-১ নামের তেলবাহী জাহাজের ৬ কর্মচারীকে জিম্মি করে ৩৫০ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল লুট করে ডাকাত দল। এ ঘটনার পরেরদিন মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলার প্রেক্ষিতে আজ যমুনা নদীর চৌহালীতে চোরাই ফার্নেস অয়েলসহ বাল্কহেডটি পৌঁছালে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ওই জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কিংফিশার শিপিং লাইন্স। জাহাজের কর্মচারীদের দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৩৫০ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল লুট করেছিল একদল ডাকাত। এমন অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার (অপারেশন) ফজলে খোদা বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ৭-৮ জন ডাকাতকে আসামি করে মামলা করে। এটি যেহেতু নৌপথের ঘটনা, তাই নৌ পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছিল। তবে আজ সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে অভিযান চালিয়ে লুণ্ঠিত ফার্নেস অয়েল উদ্ধারসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এম এ মালেক/এমআরএম
Advertisement