দেশজুড়ে

ইনজেকশন দেওয়ার পর কিশোরীর মৃত্যু, ভুয়া চিকিৎসক আটক

বগুড়ার শেরপুরে ইনজেকশন পুশ করার পর নওশিন (১৪) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ভুয়া চিকিৎসক জাবেদ ইকবাল বাবুকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন জনতা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরের পর শহরের রামচন্দ্রপুরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ভুয়া চিকিৎসক জাবেদ ইকবাল বাবু ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাশেমের ছেলে। তার বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) রেজিস্ট্রেশন নেই। তার দাবি, তিনি কলকাতায় ডাক্তারি পড়েছেন।

নিহত নওশিন বিশালপুর ইউনিয়নের নাইশিমুল এলাকার নবিন উদ্দিনের মেয়ে।

Advertisement

কিশোরীর বাবা নবিন উদ্দিন জানান, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে নওশিনের জ্বর আসে। তখন তিনি সন্তানকে নিয়ে রামচন্দ্রপুরপাড়ার জাবেদ ইকবাল বাবুর চেম্বারে যান। বাবু চিকিৎসা দিয়ে আবার বৃহস্পতিবার আসতে বলেন। ফলোআপের জন্য বৃহস্পতিবার নিয়ে গেলে শ্বাসকষ্ট আছে বলে একটি ইনজেকশন দেন কথিত চিকিৎসক। এরপর মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন জাবেদ ইকবাল তাকে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলেন। পরে ওই কিশোরীকে শেরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নবিন উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ের সামান্য জ্বর ছিল। ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে। পরে জনতা ওই ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

জাবেদ ইকবাল বাবু ইনজেকশন দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ইনজেকশন দেওয়ার ২-৩ মিনিটের মধ্যেই খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তখন তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। হয়তো রাস্তার মধ্যে মারা গেছে।

তবে কী ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি। তিনি জানান, তার বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন নেই। তবে কলকাতায় ডাক্তারি পড়েছেন।

Advertisement

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিকী লিংকন বলেন, বিএমডিসি রেজিস্টার্ড না হলে আইন অনুযায়ী তিনি ভুয়া চিকিৎসক। ভুয়া হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত চিকিৎসককে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত হচ্ছে। দোষী হলে অবশ্যই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এসআর/এমএস