খেলাধুলা

টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জাকিরের ঝড়, সিলেটের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি

পাওয়ার প্লেতে হতাশা। ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২১ রান তুলতে পেরেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। সেখান থেকে রনি তালুকদার আর জাকির হাসানের শতরানের জুটিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করিয়েছে স্বাগতিকরা। অর্থাৎ জিততে হলে খুলনা টাইগার্সকে করতে হবে ১৮৩।

Advertisement

জাকির হাসানের ব্যাটে রানের ফোয়ারা ছুটছেই। আগের ম্যাচে করেছিলেন ২৭ বলে ৫৮। আজ ৪৬ বলে ৭৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছেন এই বাঁহাতি।

ঘরের মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে সিলেট। আরও একবার ব্যর্থ রাহকিম কর্নওয়াল (৫ বলে ৪)। আরেক বিদেশি জর্জ মুনসেও ৭ বলে ২ রানের বেশি করতে পারেননি। দুজনই হন বোল্ড। কর্নওয়াল হন আবু হায়দার রনির শিকার, মুনসেকে বোল্ড করেন নাসুম। ১৫ রানে ২ উইকেট হারায় সিলেট।

সেখান থেকে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন রনি তালুকদার আর জাকির হাসান। ছক্কা হাঁকিয়ে ২৯ বলে ফিফটি পূরণ করেন জাকির। টানা দ্বিতীয় আর চার ম্যাচে এটি তার তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি।

Advertisement

রনি ফিফটি হাঁকান ৩৯ বলে। তৃতীয় উইকেটে এই দুজন ৬২ বলে গড়েন ১০৬ রানের বড় জুটি। শেষ পর্যন্ত এই জুটি ভাঙেন আবু হায়দার রনি। বড় শট খেলতে গিয়ে বল সোজা আকাশে তুলে দেন রনি তালুকদার। ৪৪ বলে ৫৬ রানে থামতে হয় তাকে।

এরপর ৬ বলে ৩ ছক্কায় ২০ রানের ক্যামিও উপহার দিয়ে যান অ্যারন জোন্স। জিয়াউর রহমানের বলে শূন্যে লাফিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক মাহিদুল অঙ্কন। জিয়া তার পরের বলেই জাকের আলীকে (০) ফেরান। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বল ব্যাটে লেগে গড়িয়ে গিয়ে স্টাম্পে আঘাত হানে।

তবে জাকির হাসান ঝড় তুলে গেছেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। ৪৬ বলে ৭৫ রানের ইনিংসে চারের দ্বিগুণ ছক্কা (৩টি চার, ৬টি ছক্কা) হাঁকিয়েছেন তিনি। আরিফুল ইসলাম অপরাজিত ছিলেন ১৩ বলে ২১ রানে।

খুলনার দুই পেসার জিয়াউর রহমান আর আবু হায়দার রনি নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

Advertisement

এমএমআর/জেআইএম