দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন যেন পিছু ছাড়ছে না। এর ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবারও ব্যাপক দরপতন হয়েছে। এ নিয়ে টানা মূল্যসূচকের পতন পঞ্চম দিনে গড়ালো।এদিন দরপতন হয়েছে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের। তবে উভয় বাজারে মূল্য সূচকের ব্যাপক পতন হলেও আগের দিনের চেয়ে সামান্য বেড়েছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমান।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যাপক পতনের মাধ্যমে মূল্যসূচক গত সাড়ে ১১ মাস পেছনের অবস্থানে নেমে গেছে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে বেশ কিছু দিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে। বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে অনেকে। তাছাড়া বর্তমান বাজারে ব্যাংকগুলোর এক্সপোজার লিমিট (বিনিয়োগ সমন্বয় সীমা) সমন্বয়ের সময় সীমা বাড়ানো নিয়েও এক ধরনে গুজব চলছে। এতে আরও আতংকিত হয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে বাজারে পতন ধারা অব্যাহত আছে বলে মনে করছেন তারা।তারা আরও বলেন, কি কারণে বাজার দরপতন অব্যাহত আছে তা নিয়ন্ত্রক সংস্থার খুঁজে বের করা উচিত। সেই সঙ্গে স্টক হোল্ডার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সমন্বয়ে বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করা উচিত। তাহলে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে। আর তখনই বাজার স্বাভাবিক ধারায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৫ সালের ৭ মে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ছিল ৪ হাজার ১২২ পয়েন্টে, পরের দিন বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২২২ পয়েন্টে। পরবর্তীতে বাজারের ব্যাপক উত্থান পতন থাকলেও মূল্য সূচক এতোটা নিচে নামেনি। গত পাঁচ কার্যদিবস টানা পতনে মূল্য সূচক আবারও সাড়ে ১১ মাস আগের অবস্থানে নেমে গেছ। বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ২৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।এছাড়া ডিএস৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬৩২ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৩৫৬ কোটি টাকা। যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৩ কোটি বেশি। মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৪৩ কোটি টাকা।ডিএসইতে মোট ৩১৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটেরর লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ১৯১টির এবং অপরিবর্তত আছে ৪৮টি প্রতিষ্ঠনের শেয়ার দর।এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ৭৮ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ৯৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে ৯৫৭ পয়েন্টে, সিএসই৩০ সূচক ৫৯ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১৪০ পয়েন্টে, সিএসপিআই সূচক ১২৮ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৬৩ পয়েন্টে এবং সিএসআই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে ৯০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।সিএসইতে টাকার অংকে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩৬ টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ৪৪ টির, কমেছে ১৬৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৯টির শেয়ার দর।এসআই/এআরএস/আরআইপি
Advertisement