খেলাধুলা

দু’দলের সম্ভাবনাই ফিফটি ফিফটি

পাকিস্তান ছাড়া আর কাউকে হারানো খুব কঠিন হবে বাংলাদেশের পক্ষে। ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে গ্রুপ ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে জাগো নিউজের সাথে কথা বলতে গিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন কথার হাব-ভাবে বুঝিয়েছিলেন, ভারত ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে পেরে উঠবে না বাংলাদেশ। যদি পারে, তাহলে সেটা পাকিস্তানের বিপক্ষেই।

Advertisement

জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়কের ভবিষ্যদ্বাণীর প্রথম অংশ মিলে গেছে শতভাগ। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের সাথে হেরেছে বাংলাদেশ। দুই হারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেও নিবদায় নিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

এখন শেষ ম্যাচে টাইগাররা কি স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারাতে পারবে? ৪দিন আগে নিজ দলের পক্ষ নিয়ে সুজন বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান অবশ্যই ভালো দল। মানসিকভাবে তারা অনেক স্ট্রং। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আর দলের শক্তিমত্তার বিচারে বাংলাদেশ তাদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত ভালো দল বলেই আমি মনে করি।’

কোন দিক দিয়ে ভালো? সুজন ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে, ‘ওদের মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞ বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান আছে। আমাদেরও কিন্তু মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ আছে। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে দেখলে আমরা সমানে সমান। বোলিংয়ে আমরা এগিয়ে। আমাদের বোলিং তুলনামূলক তাদের থেকে ভালো।’

Advertisement

প্রথম ২ ম্যাচ হারের পর পাকিস্তানীদের সম্পর্কে খালেদ মাহমুদ সুজনের মূল্যায়ন কী? বলে রাখা ভাল, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দু’দলই ভারত ও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে। কাজেই পাকিস্তানের শক্তিমত্তা ও বাংলাদেশের সামর্থ্য সম্পর্কে ধারণা জন্মেছে সবার।

সে আলোকে জিজ্ঞেস করা হলে, দেশের ক্রিকেটের এ অভিজ্ঞ যোদ্ধা বলেন, ‘বাংলাদেশ আর পাকিস্তান; ফিফটি ফিফটি। দুই দলের সম্ভাবনা একদম সমান সমান।’ কারণ ব্যাখ্যা করে বোর্ড থেকে পদত্যাগ করা পরিচালক সুজনের কথা, ‘এজন্য বললাম যে, পাকিস্তানের বোলিংয়ের চেয়ে আমাদের বোলিং ভাল হচ্ছে। পাকিস্তানের ব্যাটিং- আমি বলবো না যে খুব ভাল ব্যাটিং লাইন আপ। ভাল জায়গায় বল করতে পারলে পাকিস্তানীদের নিয়ন্ত্রনে আটকে রাখা সম্ভব। কিন্তু খেলায় জিততে হলে আমাদের ব্যাটারদের রান করতে হবে। বিশেষ করে প্রথম ৩-৪ জনের মধ্যে একজনকে লম্বা ইনিংস খেলতেই হবে।’

এআরবি/আইএইচএস/

Advertisement