সাবেক মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আবদুল্লাহ আল নোমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন গুণী নেতা ছিলেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। ষাটের দশকের শুরু থেকে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত রাজনীতিতে সক্রিয় থেকেছেন আবদুল্লাহ আল নোমান।
তিনি বলেন, বিএনপিতে সক্রিয় থেকে তিনি চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সাবেক এই মন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনৈতিক ঘরানার বাইরেও চট্টগ্রামে সব দলমতের মানুষের কাছে শ্রদ্ধার আসনে ছিলেন তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
Advertisement
মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান।
১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নোমান যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে। মেননপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ছাত্রজীবন শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন। গোপনে ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন। ১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৮১ সালে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি।
Advertisement
এমইউ/বিএ/জেআইএম