শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটলেও মানের ভয়াবহ অবনতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
Advertisement
তিনি বলেন, দেশের শিক্ষায় অনেক কিছুই হয়েছে। অনেক প্রসার ঘটেছে। রমরমা অনেক বাণিজ্যও দেখা যাচ্ছে। তবে শিক্ষার মানের ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে এবং ঘটছে। এটা আশঙ্কাজনক। এখন প্রযুক্তির যুগ...সভ্যতার পথ ধরে এগোতে গেলে প্রযুক্তি তো লাগবেই। তবে নৈতিকতা ছাড়া সভ্য হওয়া যাবে না।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, তোমরা যারা কর্মজীবনে প্রবেশ করছো, ক্যারিয়ারের প্রতি যত্নবান হবে। সমাজের জন্যও কিছু করতে হবে। সমাজের জন্য কিছু করা অর্থ কী? আমরা যে যা-ই করি না কেন, আমরা যদি সবক্ষেত্রেই নিজের দায়িত্ব ঠিকমতো, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সৎভাবে পালন করি, তবেই সেটা সমাজের জন্য কিছু করা হবে।
Advertisement
আরও পড়ুন
ফেব্রুয়ারিতেই সব বই পাবে শিক্ষার্থীরা: শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার অবস্থা এতই খারাপ, তিন মাসে কিছু করা সম্ভব নয়ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আর্থিক বিবেচনায় আপনারা পেশা বেছে নেবেন না। বরং আপনার যে কাজটি করতে ভালো লাগে, সেরকম পেশা বেছে নেওয়া উচিত। আমরা এমন সমাজে বাঁচতে চাই, যেখানে সৎভাবে বুক উঁচু করে বাঁচা যায়। সে পথে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।
গণঅভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশের স্বার্থে জীবনবাজি রেখে লড়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকের ধারণা ছিল যে প্রাইভেট ভার্সিটির শিক্ষার্থীরা শুধু নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়েই চিন্তা করে, তাদের মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা কাজ করে না। তবে আমরা সাম্প্রতিক যে গণঅভ্যুত্থান দেখেছি, সেখানে ব্র্যাকসহ বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেভাবে জীবনবাজি রেখে এগিয়ে এসেছিলেন, তাতে সবার ভুল ভেঙে গেছে।
সমাবর্তন বক্তা ছিলেন অস্কার জয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংবাদিক শারমিন ওবায়েদ চিনয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার।
Advertisement
আরও পড়ুন
পাঠ্যবই ছাপাটা এবার যুদ্ধের মতো, কবে সব দিতে পারবো জানি নাসমাবর্তনে ভেলিডিক্টোরিয়ান বক্তব্য দেন চ্যান্সেলর স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী শিহাব মুহতাসিম ও সমাপনী বক্তব্য দেন সমাবর্তন কমিটির কো-চেয়ার ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন ড. সাদিয়া হামিদ কাজী।
এবারের সমাবর্তনে চার হাজার ৮২৯ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দুজনকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক এবং ২৮ জনকে ভাইস-চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।
এএএইচ/এমকেআর