লাইফস্টাইল

দুপুরে ঘুমালে শরীরে কী ঘটে?

দুপুরে ভরপেট খাওয়ার পর বিছানায় গা এলিয়ে দেন অনেকেই। দুপুরের ঘুমের মধ্যে অনেকেই শান্তি খুঁজে পান। তবে এই ঘুম কি শরীরের জন্য আদৌ ভালো, নাকি দুপুরে ঘুমালে শরীরের ক্ষতি হয়? তার আগে জেনে নিন ঘুমের মধ্যে শরীরে কী কী ঘটে-

Advertisement

এ সময় মস্তিষ্ক নিজের দরকারি সব তথ্য ঠিকমতো গুছিয়ে নেয়। অপরদিকে সব অপ্রয়োজনীয় তথ্য ‘রিসাইকেল বিনে’ সরিয়ে রাখে। একই সঙ্গে ঘুমের মধ্যে শরীর নিজেকে সারিয়ে তোলার কাজে ব্যস্ত থাকে।

এমনকি এ সময় দেহে বেশিরভাগ গঠনমূলক কাজ হয়। এমনকি ঘুমের মাধ্যমেই কেটে যায় ক্লান্তি। পরবর্তী সময়ে চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি হয় শরীর।

তবে দুপুরে কি ঘুমানো উচিত?

এ বিষয় সম্পর্কে ভারতের কলকাতার বিশিষ্ট মেডিসিনের চিকিৎসক ডা. জয়দীপ ঘোষ জানান, রাতের গভীর ঘুমের মধ্যে শরীরের ভেতরে নানা ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটে। তবে অনেকেই রাতের বদলে দুপুরে ২-৩ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেন।

Advertisement

আর এই ভুল করেন বলেই অনেকেরই রাতে সময়মতো ঘুম আসতে চায় না। তারাই পরবর্তী সময়ে অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। তাই যাদের অনিদ্রার সমস্যা আছে তারা দুপুরে ঘুমাবেন না।

আরও পড়ুন

উচ্চ রক্তচাপ বাড়ায় কিডনির সমস্যাও, কীভাবে সতর্ক থাকবেন?  লিভার ক্যানসারের এই লক্ষণগুলো সাধারণ ভেবে এড়িয়ে যাচ্ছেন না তো? 

অনেকেই দুপুরে পেট ভরে খাবার খান। আর সেই কারণে ব্রেনের বদলে পাকস্থলীতে রক্ত চলাচল বাড়ে। যার ফলে খাওয়ার পরপরই চোখে ঘুমে জড়িয়ে যায়।

তাই খাওয়ার পর ঘুম এড়িয়ে চলতে চাইলে পেট ভরে খাবেন না। তার পরিবর্তে পেটে সামান্য ক্ষুধা রেখে খান। আর চেষ্টা করুন দুপুরে খাবার খাওয়ার পর বিছানায় না বসার।

Advertisement

আর যদি দুপুরে একান্তই ঘুমাতে হয় তাহলে তার আগে জানতে হবে ব্যক্তি কী ধরনের কাজ করছেন, কতটা পরিশ্রম করছেন। এর উপর ভিত্তি করেই ঘুমের সময় ঠিক করা উচিত।

তবে গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক অন্ততপক্ষে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। যদি কারও রাতে ঘুম কম হয় তাহলে এক বা দু’দিন দিনে ঘুমিয়ে নিতে পারেন কয়েক ঘণ্টা। তাই বলে দৈনিক দিনে বা দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস অনিদ্রার কারণ হতে পারে, এমনই মত বিশেষজ্ঞদের।

অনিদ্রার সমস্যা সমাধানে কী করবেন?

১. ঘুমানোর একঘণ্টা আগে থেকে মোবাইল, টিভির থেকে চোখ সরিয়ে নিন।২. ঘুমের আগে বই পড়ুন।৩. শান্ত পরিবেশে ঘুমান।৪. নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।৫. রাতের খাবার তাড়াতাড়ি সেরে নিন।

সূত্র: এই সময়

জেএমএস/জিকেএস