যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটির ফেডারেল সরকারের কর্মচারীদের কাছে সম্প্রতি ই-মেইল পাঠিয়েছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পাঠানো ওই ই-মেইলে কর্মচারীদের আগের সপ্তাহের কাজের বিবরণ দিতে বলা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব না দিলে তাদের চাকরি হারানোর ঝুঁকির কথাও বলা হয় তাতে।
Advertisement
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের অন্তত ৩টি সংস্থা ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডিওজিই) পাঠানো ই-মেইলের জবাব না দিতে কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছে। সংস্থা তিনটি হলো- এফবিআই, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও পেন্টাগন।
মূলত মাস্কের এই ই-মেইলের জেরে প্রশাসনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর সেই প্রেক্ষাপটেই মার্কিন সরকারের এই তিন সংস্থা তাদের কর্মীদের মাস্কের ই-মেইলের জবাব না দিতে পরামর্শ দিলো।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া পোস্টে মাস্ক তার দাবিকে আরও শক্তিশালী করে বলেছেন, জবাব দিতে ব্যর্থ হলে তা পদত্যাগ হিসাবে নেওয়া হবে। তিনি এই প্রয়োজনীয়তাটিকে প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্পের) নির্দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেও দাবি করেছেন।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) ডিরেক্টর কাশ প্যাটেল তার কর্মীদের কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া করতে নিষেধ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, তার সংস্থাটি স্বাধীনভাবে অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা চালাবে।
অন্যদিকে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মকর্তা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, কোনো কর্মচারী তাদের ডিপার্টমেন্ট চেইন অব কমান্ডের বাইরে তাদের কার্যকলাপের বিষয়ে অন্যত্র রিপোর্ট করতে বাধ্য নয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনও অনেকটা একই ধরনের কথা জানিয়েছে।
অবশ্য হোয়াইট হাউজ এই বিতর্কের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মাস্কের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেছেন, ডিওজিই সরকারি জালিয়াতি ও অপব্যবহারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে।
সূত্র: আনাদোলু
Advertisement
এসএএইচ