ঈদুল আজহা বা কোরবানি ঈদের বাকি আর মাত্র ক’দিন। এই ঈদে গৃহিণীদের কাজ অনেক বেড়ে যায়। কারণ ঈদের সময় পশু কোরবানির পর মাংস ভাগ করে ধুয়ে সংরক্ষণ করা থেকে শুরু করে রান্না করা পর্যন্ত অনেক কিছুই লাগে হাতের কাছে।
Advertisement
তখন এটা সেটা হাতের কাছে না পেলে যেমন ঈদের দিন বিরক্ত হবেন, একই সঙ্গে সময়ও নষ্ট হয়। তাই ঈদুল আজহার প্রস্তুতি নিন এখন থেকেই। জেনে নিন কী কী-
আরও পড়ুন: কোরবানির জন্য কী কী সরঞ্জাম কিনবেন?
যন্ত্রপাতি গুছিয়ে নিন
Advertisement
পশু জবাই করার জন্য খুটিনাটি যন্ত্রপাতি হাতের নাগালে রাখতে হবে। অনেকের বাড়িতেই হয়তো পুরোনো ছুরি, বটি বা ইত্যাদি যন্ত্রপাতি থেকে থাকবে।
সেগুলো ঈদের আগেই ধারালো করে নিন ও গরম পানিতে ১-২ মিনিট ডুবিয়ে রেখে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। এতে জীবাণু আর না থাকবে না। আর যাদের যন্ত্রপাতি নেই, তারা ঈদের আগেই কিনে রাখুন।
রান্নার মসলা প্রস্তুত রাখুন
কোরবানির মাংস রাঁধতে প্রয়োজন হয় অনেক মসলার। পেঁয়াজ-রসুন-আদা বাটা থেকে শুরু করে গুঁড়া মসলা যেমন- হলুদ, মরিচ, জিরা, ধনিয়া ও গরম মসলাসহ যাবতীয় নানা মসলা আগে থেকেই সংরক্ষণ করুন।
Advertisement
আরও পড়ুন: ফ্রিজ ভালো রাখতে যেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি
আর যদি বিরিয়ানি রান্না করতে চান, সেক্ষেত্রে আরও কিছু মসলা আগের থেকেই গুছিয়ে রাখুন। চাইলে এখন থেকেই গুঁড়া মসলাগুলো প্রস্তুত করে কৌটায় ভরে রাখুন। আর বাটা ও কাটা মসলাগুলো জিপলক ব্যাগ বা কৌটায় ফ্রিজের ডিপে রেখে সংরক্ষণ করুন।
ঈদের বাজার
যেহেতু ঈদের বাকি আর মাত্র কয়দিন, তাই সময় বাঁচাতে এখনই করে রাখুন ঈদের বাজার। সেমাই-চিনি থেকে শুরু করে ঈদের দিন মিষ্টান্ন রান্নার জন্য যাবতীয় পদ তৈরির প্রয়োজনী উপকরণ কিনুন মনে করে।
মাংস সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে রাখুন
কোরবানির মাংস ঘরে আনার পর সব আলাদা করে ভাগ করে রাখুন। যেমন-সিনার মাংস, কলিজা, ভুড়ি, পায়ের মাংস, মগজ, ইত্যাদি ভাগ করে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুন: ফ্রিজে মাংস ও ডিম কতদিন রাখা উচিত?
ফ্রিজে রাখার আগে ভালো করে মাংস ধুয়ে রাখবেন। ফুড গ্রেডের প্লাস্টিকের ব্যাগেই মাংস রাখা উত্তম। এই প্যাকেটগুলো ঈদের আগেই যোগাড় করে রাখুন। যাতে প্রয়োজনের সময় খুঁজতে না হয়। মাংস ছোট ছোট করে প্যাকেট করে রাখুন।
প্রতিটি প্যাকেটের গায়ে কোন মাংস তা লিখে রাখলে খুঁজে বের কররাও সহজ হবে। অবশ্যই কোরবানির মাংস ৪-৬ মাসের বেশি সংরক্ষণ করবেন না। তাহলে মাংসের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
জেএমএস/এএসএম