ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক। ১৮৭৪ সালের ৩০ নভেম্বর অক্সফোর্ডশায়ারে দাদার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম উইনস্টন লিওনার্ড স্পেন্সার চার্চিল। তিনি যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অধিক পরিচিত। চার্চিলকে যুক্তরাজ্য ও বিশ্বের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রথম জীবনে তিনি ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সদস্য ছিলেন।
Advertisement
১৯০০ সালে ম্যানচেস্টারের ওল্ডহ্যামের কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য হিসেবে যোগ দেন উইনস্টন চার্চিল। বাবার স্বাধীন চেতনাকে অনুসরণ করে সামাজিক সংস্কারক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তোলেন নিজেকে। প্রায় ৫০ বছর তিনি রাজনীতির প্রথম সারিতে ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে ক্যাবিনেটের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। ১৯০০ সালে তিনি হাউস অফ কমন্সে নির্বাচিত হন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে তিনি প্রেসিডেন্ট অব দ্য বোর্ড অব দ্য ট্রেড, হোম সেক্রেটারি ও যুদ্ধকালে আসকুইথ লিবারেল গর্ভমেন্টের ফার্স্ট লর্ড অব দ্য অ্যাডমিরালটির দায়িত্ব পালন করেন।
চার্চিল শুধু রাজনীতিবিদ বা সুবক্তাই ছিলেননা তার লেখা ইংরেজি ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে। সৈনিক জীবনে তিনি যে রিপোর্টগুলো পাঠাতেন তা ছাপা হয় ‘দি পাওনিয়র’ ও ‘ডেলি টেলিগ্রাফ’ এ। তার বৈচিত্র্যময় ও বিস্তৃত লেখার সম্ভারের মধ্যে একটিই মাত্র ছোটগল্প লেখেন। তার নাম ‘ম্যান ওভারবোর্ড’।
এছাড়া তিনি চল্লিশটির বেশি বই রচনা করেছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে ছয় খণ্ডে প্রকাশিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস। ১৯৫৩ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন তার আত্মজৈবনিক রচনার জন্য। ২০০২ সালে বিবিসির এক জরিপে তিনি সর্বকালের সেরা ব্রিটেনবাসী হিসেবে মনোনীত হন। ১৯৫৩ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ স্যার উইনস্টন চার্চিলকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
Advertisement
তার উল্লেখযোগ্য রচনা- দ্য স্টোরি অব দ্য মালাকান্ড ফিল্ড ফোর্স, দ্য রিভার ওয়ার, সাভরোলা, লন্ডন টু লেডিস্মিথ ভায়া প্রেটোরিয়া, আয়ান হামিল্টনস মার্চ, লর্ড রানডলফ চার্চিল, মাই আর্লি লাইফ: আ রোভিং কমিশন, দ্য সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার, আ হিস্ট্রি অব দ্য ইংলিশ-স্পিকিং পিপলস ইত্যাদি। ১৯৬৫ সালের ২৪ জানুয়ারি লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
কেএসকে/জেআইএম