ভারত-অস্ট্রেলিয়া মহারণ আজ মঙ্গলবার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। এ ম্যাচে ভারতীয় দলের মহা আতঙ্কের নাম ট্রাভিস হেড। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতীয় বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন হেড। ওই সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ভারতীয় দর্শকদের কাঁদিয়ে ট্রফি অস্ট্রেলিয়া নিয়ে গিয়েছিলেন প্যাট কামিন্সরা।
Advertisement
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সামনে পড়েছে ভারত। অসিদের দলে আছেন সেই হেড। যে কারণে ভারতীয় দর্শক-সমর্থক ও সাবেক তারকাদের মাথা ব্যথার কারণ এ অসি তারকা। বাঁহাতি মারমুখী এ ব্যাটারকে কীভাবে আউট করা যায় সেই ছক আঁকছেন তারা।
হেডকে তাড়াতাড়ি আউট করার জন্য ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামির কাছে আকুতি জানিয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিং। এছাড়া এ ম্যাচে ভারতীয় দলকে তিনটি মূল কাজে মনোযোগী হতে বলেছেন তিনি।
ওয়ানডে ফরম্যাটে ভারতের বিরুদ্ধে হেডের পরিসংখ্যান বিপদের পরিচায়ক। ম্যান ইন ব্লুজদের বিপক্ষে ৯ ইনিংসে ৩৪৫ রান (গড় ৪৩.১২) সংগ্রহ করেছেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই শতকও অন্তর্ভুক্ত। তার আগ্রাসী খেলার শুরুর ধরণ, খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতার জন্য হরভজন মনে করেন, হেডকে অতিদ্রুত আউট করতে হবে।
Advertisement
হরভজন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের জন্য ভারতীয় দলের যা যা করতে হবে তার মধ্যে তিনটি মূল কাজ রয়েছে। প্রথমত, ট্র্যাভিস হেডের ভয় কাটিয়ে তাকে আউট করতে হবে। শামি (মোহাম্মদ শামি) সাহেব, ট্র্যাভিস হেডের কাজ খুব বেশি হয়ে গেছে, এখন তাকে রান করতে দেওয়া যাবে না।’
তবে হেড ছাড়াও আরও কিছু অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান রয়েছেন, যাদের ব্যাপারে ভারতকে সতর্ক থাকতে হবে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং জশ ইংলিসকে এমন খেলোয়াড় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন হরভজন, যারা মুহূর্তের মধ্যে খেলা পাল্টে দিতে সক্ষম।
দ্বিতীয় মূল কাজ নিয়ে হরভজন বলেন, ‘তাদের (অস্ট্রেলিয়া) লোওয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং জশ ইংলিস শক্তিশালী হিটার এবং দ্রুত ছক্কা ও চার মারতে পারেন। তাদেরকে দ্রুত রান করতে দেওয়া যাবে না।’
গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচই জিতেছে ভারত। হরভজন মনে করছেন, ভারতীয় ক্রিকেটারদের বেশি চাপ নেওয়া উচিত হবে না। আগের ম্যাচগুলো যেভাবে খেলেছে, সেই ধারাটা ধরে রাখতে হবে।
Advertisement
হরভজন বলেন, ‘তৃতীয়টি খুবই সহজ— এটি একটি নকআউট ম্যাচ। এমন ম্যাচে অতি পরিশ্রম করা উচিত নয়। আপনাদেরকে সেইভাবেই খেলতে হবে যেমনটি এখনো খেলছেন।’
ক্রিকেটভকক্তদের প্রত্যাশা, বিশ্বক্রিকেটের দুই জায়ান্ট আবার মুখোমুখি হলে শামি ও হেডের মধ্যে একটি মহাকাব্যিক লড়াইয়ের সূচনা হতে পারে।
এমএইচ/এএসএম