দেশজুড়ে

মনু নদীতে তরুণীর মরদেহ, সঙ্গে মিললো রোহিঙ্গা লেখা পরিচয়পত্র

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মনু নদী থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় তার সঙ্গে ভারতের ইস্যু করা রোহিঙ্গা লেখা পরিচয়পত্র পাওয়া যায়।

Advertisement

সোমবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের দাউদপুর এলাকায় মনু নদে বালুর চরে আটকে পড়া ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের সঙ্গে ভারত সরকারের ইস্যু করা একটি পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। এতে কার্ডধারীর নাম পারভিন ফাতেমা, বয়স ১৮ বছর এবং রোহিঙ্গা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ওই তরুণীকে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে কুলাউড়া থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনু নদীর উৎপত্তি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। নদীটি কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় নদে পানি কমে গেছে। বিভিন্ন স্থানে বালুর চর জেগেছে। গতকাল বিকেলে দাউদপুরে বালুর চরে এক নারীর মরদেহ আটকে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এসময় মরদেহের সঙ্গে একটি মুঠোফোন ও আইডি কার্ড পাওয়া যায়।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম আফছার বলেন, মরদেহ পচে গেছে। আইডি কার্ডটি ওই তরুণীর হতে পারে, আবার না-ও পারে। তরুণী ভারতের কোনো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হয়ত থাকতেন। এ কারণে আপাতত তাকে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মৌলভীবাজার জেলা সদরে অবস্থিত ২৫০ শয্যার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে।

Advertisement

ওমর ফারুক নাঈম/এফএ/জিকেএস