তথ্যপ্রযুক্তি

১০ বছর বয়সেই ইউটিউব থেকে আয় ৩০২ কোটি টাকা

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। বিনোদনের খোঁড়াক মিটিয়ে অর্থ আয়ের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম এটি। বিশ্বের ১০০টি দেশে এই মুহূর্তে কয়েকশ কোটি ব্যবহারকারী আছে টেক জায়ান্ট গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউবের। অনেকেই ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।

Advertisement

সৌন্দর্য, মেকআপ, গেমিং, ভ্রমণ, শিক্ষা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করছেন অনেকে। ১০ বছর বয়সী রায়ান কাজি খেলনার রিভিউ দিয়ে মাসে লাখ লাখ ডলার আয় করছে। বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছে অনেকে। বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে ব্যবহার হয় এই প্ল্যাটফর্মটি। অনেকেই হয়েছেন সফল ইউটিউবার।

২০২২ সালের সবচেয়ে ধনী ইউটিউবারের তালিকায় প্রথমেই আছে রায়ান কাজি। তার এ বছরের আয়ের পরিমাণ ২৯.৫ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০২ কোটি ২২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। ২০২১ সালে ইউটিউব থেকে সর্বোচ্চ আয়কারী জিমি ডোনাল্ডসনকে টপকে গেছে রায়ান। রায়ানসের ইউটিউব চ্যানেল রায়ানস ওয়ার্ল্ডের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৪১.৭ মিলিয়ন, যা জিমি ডোনাল্ডসনের চ্যানেল ‘মি.বিস্ট’র চেয়ে ৭ লাখ কম।

তবে এবারই প্রথম নয় ২০১৮-২০১৯ সাল, দুই বছর ধরে ইউটিউবের সর্বোচ্চ আয়কারী ছিল রায়ান। ফোর্বসের তালিকায় সবচেয়ে কম বয়সী এবং সবচেয়ে বেশি আয়কারী ইউটিউবার রায়ানই প্রথম। টেক্সাসের বাসিন্দা রায়ানের ইউটিউব চ্যানেলের নাম ‘রায়ানস ওয়ার্ল্ড’। সেখানে তার কাজ হলো বাক্স থেকে খেলনা বের করে সেগুলোর রিভিউ করা। রায়ানের চ্যানেলে প্রতিদিনই একটি করে ভিডিও আপলোড করা হয়। রায়ানের জন্ম ২০১১ সালের ৬ অক্টোবর।

Advertisement

২০১৫ সালে প্রথম ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও দেওয়া শুরু করে রায়ান। রায়ান তার বাবা-মা এবং দুই জমজ বোনের সঙ্গে টেক্সাসে থাকে। তার বোনরা যখন ইউটিউবে অন্যদের ভিডিও দেখতেন তখন রায়ানও তাদের সঙ্গে ভিডিও দেখত। তবে একবার বাবা-মার কাছে নিজেও এমন ভিডিও করার বায়না ধরে।

রায়ানের বাবা শিওন জাপানের এবং মা লোন কাজি ভিয়েতনামের নাগরিক। টেক্সাসে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় দুজনের পরিচয়। রায়ান এবং তার পরিবার সম্মিলিতভাবে মোট ৯টি ইউটিউব ভিডিও চ্যানেল পরিচালনা করেন। সেগুলোর মধ্যে ‘রায়ানস ওয়ার্ল্ড’-ই সবচেয়ে জনপ্রিয়।

এছাড়া ‘রায়ানস ওয়ার্ল্ড’ নামে একটি ওয়েবসাইট আছে। নিকোলোডিয়ন চ্যানেলে চলে নিজস্ব টিভি সিরিজ। নেটদুনিয়ায় তাকে বলা হয় ‘চাইল্ড ইনফ্লুয়েন্সার’। অর্থাৎ যে শিশু বাকিদের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে জুড়িহীন। রায়ানের চ্যানেলের মূল দর্শক হলো প্রি স্কুল শিশুরা।

খেলনার রিভিউ ছাড়াও রায়ান প্রটেন্ড প্লে, বিজ্ঞান পরীক্ষা, মিউজিক ভিডিও, স্কিট, চ্যালেঞ্জ, ডিআইওয়াই করে, যা তার বয়সীরা তো বটেই বড়রা খুব পছন্দ করেন। রায়ানের সব থেকে জনপ্রিয় ভিডিও হচ্ছে ‘হিউজ এগস সারপ্রাইজ টয়েজ চ্যালেঞ্জ’, যা এরই মধ্যেই ২০০ কোটি ভিউজ ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বজুড়ে ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি দেখা হয়েছে এ রকম ৬০টি ভিডিওর মধ্যে এটিও একটি।

Advertisement

সূত্র: ন্যাশনাল টুডে

কেএসকে/জিকেএস