ভ্রমণ

কুয়াকাটার ট্যুরিজম পার্কে যেসব সুবিধা পাবেন

পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় উদ্বোধন করা হয়েছে ট্যুরিজম পার্ক। এতে রয়েছে বহুমুখী সুযোগ-সুবিধা। সাগরে গোসল করতে নামার আগে পর্যটকরা পার্কটিতে থাকা লকার ব্যবহার করতে পারবেন। সেখানে জুতো-স্যান্ডেল, মোবাইল, টাকা-পয়সাসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু গচ্ছিত রাখতে পারবেন।

Advertisement

গত ১০ মার্চ বিকেলে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী পার্কটি উদ্বোধন করেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হেমায়েত উদ্দিন, কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুনিবুর রহমান, কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, সৈকত সংলগ্ন নারিকেল বাগানোর মধ্যে খালি জায়গায় ১৬০ ফুট দীর্ঘ এবং ১২০ ফুট প্রস্থ এ পার্কটি নির্মাণ করা হয়। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অর্থায়নে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে সাগরপারে দৃষ্টিনন্দন পার্কটি নির্মিত হয়। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি পার্কটির নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক ড. মো. মাছুমুর রহমান।

পার্কটিতে আধুনিক ডেকোরেশন সমৃদ্ধ একতলা টিনশেড বিশ্রামাগার রয়েছে। যেখানে বসেই উত্তাল সমুদ্রে দৃষ্টি রাখতে পারবেন পর্যটকরা। পুরুষ ও নারীদের আলাদাভাবে পোশাক পাল্টানোর মতো প্রয়োজনীয় কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। আলাদা ওয়াশরুশের ব্যবস্থাও রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ৫০ আসনের কফি হাউস।

Advertisement

ইতোমধ্যে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। পার্কে বিশাল আকৃতির স্থায়ী ছাতা, চেয়ার ও বেঞ্চ থাকবে। পার্কটি সবসময় প্রশাসনিক নিরাপত্তার আওতায় রাখা হবে। বিশেষ কারণে পর্যটকরা ভেতরে রাত যাপনেরও সুযোগ পাবেন। বর্তমানে পার্কটি ঘিরে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

জেলা প্রশাসক ড. মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘পর্যটকদের দাবি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার ধারাবাহিক একটি কাজ এ ট্যুরিজম পার্ক। এখন চালু হলে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে কুয়াকাটা উপভোগ করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী কুয়াকাটার উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’

এসইউ/পিআর

Advertisement