খেলাধুলা

রেকর্ড গড়া জয়ে সিরিজে সমতা ফেরালো ভারত

রেকর্ড গড়া জয়ে সিরিজে সমতা ফেরালো ভারত

এই টেস্টে ভারতের হারের সম্ভাবনা ছিল না একেবারেই। দেখার ছিল ইংল্যান্ড কোনোমতে ড্র করতে পারে কি না। সেই সম্ভাবনাও যে একদম ছিল না, তা না। তবে পারেনি ইংলিশরা। টেস্টের পঞ্চম দিনের শেষ দিকে এসে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে ভারত।

Advertisement

এজবাস্টনে ভারত জিতেছে ৩৩৬ রানের বিশাল ব্যবধানে। বিদেশের মাটিতে রানের হিসেবে এটিই ভারতের সবচেয়ে বড় জয়। শুভমান গিলের অধিনায়ক হিসেবে এটি প্রথম জয়। টেস্টের পঞ্চম ও শেষদিনে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা বৃষ্টির কারণে খেলা হয়নি। ইংল্যান্ড হয়তো তখন স্বস্তিতেই ছিল। কিন্তু বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পর প্রথম সেশনে ১০ ওভার কেটে রেখে খেলা শুরু করা হয়।

৩ উইকেটে ৭২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল ইংলিশরা। পঞ্চম দিনে টানা দুই ওভারে ওলি পোপ আর হ্যারি ব্রুককে ফিরিয়ে শুরুতেই ইংলিশদের চাপে ফেলেন আকাশ দিপ। পোপ ২৪ রানে হন বোল্ড, ব্রুক ২৩ করে এলবিডব্লিউ।

এরপর বেন স্টোকস আর জেমি স্মিথ ১১৫ বল কাটিয়ে দেন। যোগ করেন ৭০ রান। স্টোকসের আউটে ভাঙে এই জুটি।

Advertisement

এই ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস সেটা বুঝতে পেরেই ম্যাচ বাঁচানোর দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন। কিন্তু তার প্রতিরোধ ভেঙে গেছে লাঞ্চের ঠিক আগের বলেই।

৭৩ বল খেলে ৩৩ রান করে ওয়াশিংটন সুন্দরের এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন স্টোকস। ৬ উইকেটে ১৫৩ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের লাঞ্চ বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।

দ্বিতীয় সেশনে ক্রিস ওকসকে নিয়ে ৭০ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়েন স্মিথ। প্রসিধ কৃষ্ণার শর্ট বলে ওকস (৩২ বলে ৭) পুল খেলতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন।

জেমি স্মিথ একটা প্রান্ত ধরে লড়াই করে যাচ্ছিলেন। সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। আকাশ দিপ তার পঞ্চম শিকার বানান স্মিথকে।

Advertisement

ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন স্মিথ। ৯৯ বলে ৯ চার আর ৪ ছক্কায় তিনি করেন ৮৮ রান। স্মিথ ফেরার পর ভারতের জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৬৮.১ ওভারে ২৭১ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।

আকাশ দিপ ৯৯ রানে শিকার করেন ৬ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে তার উইকেট ১০টি।

প্রথম ইনিংসে ভারত ৫৮৭ রানের পাহাড় গড়েছিল। জবাবে ৪০৭ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ৬ উইকেটে ৪২৭ তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে শুভমান গিলের দল।

এমএমআর/এমকেআর