সাহিত্য

সাইফ হাসনাতের তিনটি কবিতা

ঝড়

Advertisement

কালেভদ্রে যৎসামান্য তীব্রতা পেয়েইতুমুল ঝড়ে সব লণ্ডভণ্ড করে দিতে পারে যে হাওয়া,সেই সব দক্ষিণা হাওয়া জানে-তোমার টানেআমার ছোটাছুটির তীব্রতা কতো বেশি।

হাওয়াদেরও নিশ্চয় টান থাকে কোনো সুদূরের,না হলে এতোটা তীব্রতা কোত্থেকে আসে!

আমি ছুটে যাই ঠিকইহাওয়াদের মতো-তোমাকে দুমড়েমুচড়ে দেই প্রবল ঝঞ্ঝায়,তোমার হাত-পা-মুখ থেতলে যায়,তোমার কোঁকড়া চুল জড়িয়ে যায় আরও।

Advertisement

যেনো আমিও ঝড় হয়ে উঠি,তাণ্ডব-হাওয়ার তীব্রতা নিয়ে পেরিয়ে যাইতোমাকে এবং ফিরে ফিরে চাই। যদিও ঝড়েদেরফিরে তাকানোর দায় নেই-গোটা এক সভ্যতা গুঁড়িয়ে দেয়ার পরও।

অথচ ঝড় হওয়ার জন্য নয়; কবেকার একবর্ষার কাদাজলের পৃথিবীতে,আমি নেমে এসেছিলাম কোনো এক অন্য কারণে।

আমি তবু

যখন তখন মেলছো ডানাযাচ্ছো সরে দূরে দূরেইচ্ছে হলে ডাকছো কাছেঠেলছো আবার তেপান্তরে।

Advertisement

যাচ্ছো ভুলে যখন তখনপাতবো বাড়ি তোমার ডানায়দিচ্ছো আবার মন ও হৃদয়পূর্ণ করে কানায় কানায়।

এমন তোমার ভালোবাসা-তাল মেলানো কঠিন ভীষণএমন তোমার প্রেমের খেলাতাল মেলানো কঠিন ভীষণ।

প্রেমের টানে মনের ভুলে তবু আমি তাল হারিয়েকেমন করে থাকছি দেখো তোমার আশায় ঠায় দাঁড়িয়ে।

যতোভাবে খুশি

আমাকে বাজিয়ে দেখো যতোভাবে খুশি,যতোভাবে খুশি আমাকে নাড়িয়ে দেখো;কোনোকালে রাখাল ছিলাম কি-না, কোনোকালেমাছ ধরা নৌকার পেছন পেছন দৌড়েহারিয়ে গিয়েছিলাম কি-না কোনো এক নদীঘেঁষা গ্রামে।

আমার মাথার খুলি খুলে ফেলোমস্তিষ্ক ছড়িয়ে দাও রোদেতারপর সেখান থেকে খুঁজে বের করোআমার স্মৃতিতে পুরোনো প্রেমিকারা আসলে কেমন।

আমাকে কাটো, কেটে ভাগ ভাগ করোতারপর আমার শিরা-উপশিরায় বহমান রক্তস্রোতকেআটকে ফেলো এক কাচের কৌটায়,যাতে কোনোদিন তা থেকে বের করে আনা যায়আমার শৈশবের একেকটা অভাবনীয়সুন্দর দিন।

এইভাবে আমাকে সবিস্তারে দেখেতোমাদের অনুভূতি যা-ই হোক;লোকজনদের জানাও যে-এই ছেলের মধ্যেভালো কিছু নেই। তাতেই দেখো তোমাদের আত্মারাকী রকম উল্লসিত হয়ে উঠবে।

এসইউ/পিআর