কুড়িগ্রামে গরু-মহিষের বিমা বিষয়ক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিমার অন্তর্ভুক্ত গরু-মহিষ দুর্ঘটনায় মারা গেলে কৃষক ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে জানিয়েছেন বিমা কর্মকর্তারা।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা অফিসার্স ক্লাব অডিটরিয়াম আলোর ভূবন হলরুমে এ প্রকল্পের উদ্ধোধন করা হয়।
কার্নিভাল অ্যাসিউরের তত্ত্বাবধানে ও সুইসকন্টাক্টের সার্বিক সহযোগিতায় এতে অর্থায়ন করবে সুইস অ্যাম্বাসি। প্রকল্পটি ডটলাইনস সোশ্যালের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে ডটলাইনস সোশ্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ কামরুল আরেফিন জিহাদ তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, তারা বিমা প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় শুরু করেছেন। এ প্রকল্পের আওতায় জেলার সাত হাজার কৃষক উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গরু-মহিষের বিমার সুবিধা বিষয়ে জানতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে তিন উপজেলার এক হাজার ৮০০ খামারি সরাসরি বিমা সুবিধার আওতায় আসবেন। যারা বিমা সুবিধার আওতায় আসবেন, সেসব কৃষকের গরু-মহিষ দুর্ঘটনায় মারা গেলে বা অক্ষম হলে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে তারা ক্ষতিপূরণ পাবেন।
Advertisement
গরু-মহিষের বিমা প্রকল্পের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উলিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক রেবা বেগম।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে বৈশ্বিক আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং এলাকার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কারণে গবাদিপশুর লালন-পালনে যে সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে, সে সমস্যাগুলো মোকাবিলায় এই বিমা প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কুড়িগ্রামের বিভিন্ন চরাঞ্চলের ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিরা এই বিমা করলে মূলধন হারানোর ভয় কমে যাবে।’
এসআর/জেআইএম
Advertisement