দেশজুড়ে

যুদ্ধাপরাধীর সন্তান আ.লীগের সদস্য হলে বহিষ্কার করা হবে

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীর সন্তানরা কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। যদি কোথাও সদস্য হয়ে থাকে তাহলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। এটা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় ভারতীয় মিত্র বাহিনীর স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য জায়গা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

যুদ্ধাপরীদের বিচারকাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোনো অবস্থাতেই থমকে যাবে না। আপনাদের এখানে যারা যুদ্ধাপরাধী ছিল তাদের বিরুদ্ধে মামালা দায়ের করেন। পর্যায়ক্রমে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি হচ্ছে।

তিনি বলেন, যারা খুব বড় যুদ্ধাপরাধী তাদের বিচারের কথা পত্র-পত্রিকায় ওঠে, মানুষ জানতে পারে। যারা নিম্নপর্যায়ে ছিল তাদের যে যাবজ্জীবন বা অন্যান্য শাস্তি হচ্ছে সেগুলো পত্র-পত্রিকায় আসে না বলে মনে হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ স্থগিত হয়ে গেছে। কিন্তু সেটা সঠিক নয়, বিচার কাজ চলমান আছে।

Advertisement

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা নন এমন ব্যক্তিরা আমাদের তালিকাভুক্ত আছে। যখনই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারে অভিযোগ পাচ্ছি তদন্ত করে বাতিল করা হচ্ছে। এ কার্যক্রমও অব্যাহত আছে।

মন্ত্রী বলেন, সাত শতাধিক ভারতীয় সৈন্য আমাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করে বাংলার মাটিতে শহীদ হয়েছেন। আমরা তাদের স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ করতে চাই। যেহেতু আশুগঞ্জে বেশি যুদ্ধ হয়েছে তাই আমরা মনে করি আশুগঞ্জের কোথাও স্মৃতিস্তম্ভটি হলে ভালো হবে।

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এস.এম আরিফ উর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিমুল হায়দার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দফতর) আবু সাঈদ, বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারী ও আশুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ইকবাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আজিজুল সঞ্চয়/এফএ/জেআইএম

Advertisement