রাজনীতি

কিছু ঘটলে সরকারকে না বলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিছিল হচ্ছে কেন

কিছু ঘটলে সরকারকে না বলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিছিল হচ্ছে কেন

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলার জন্য দায়-দায়িত্ব সরকারের, অথচ তাদের কিছু না বলে মিছিল করা হচ্ছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, যিনি ১৭-১৮ বছর লন্ডনে রয়েছেন। যিনি নিজেই শেখ হাসিনার নিপীড়িন-নির্যাতনের শিকার।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং স্লোগান দেওয়ার প্রতিবাদে কর্মসূচির আয়োজন করে কৃষকদল।

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভেতরে ভেতরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলেও আশঙ্কা করেন রিজভী। তিনি বলেন, ভোট পেছানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা উঠেছে কেন? এটা আজ গোটা জাতির প্রশ্ন। তাহলে নিশ্চয় ভেতরে ভেতরে অত্যন্ত গভীরে কোনো ষড়যন্ত্র চলছে; এটা হতে পারে না। আমরা চাই ভোটকেন্দ্র আবারও ভোটারের পদধ্বনিতে মুখরিত হোক। এর জন্যই এত কিছু।

এসময় রিজভী বলেন, আমরা বলেছি সংস্কার চাই। যৌক্তিক সময় নির্বাচন দিন একটা নির্দিষ্ট সময় বলে দিন, বেশি প্রলম্বিত করবেন না।

Advertisement

তিনি বলেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক হলো; বৈঠক থেকে একটা যুক্ত বিবৃতিও আসলো। দেশের মানুষের মধ্যে স্বস্তিও এসেছিল। কিন্তু এই স্বস্তি আমার মনে হয় কেউ কেউ চাচ্ছে না। তারপরই সারাদেশে শুরু হলো সংঘাত ও রক্তাক্ত পরিস্থিতি! এটা কেন? প্রশ্ন তোলেন তিনি।

মিটফোর্ডে এ ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি নিন্দা জানিয়েছে, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে দলের পক্ষ থেকে বিবৃতিসহ নিন্দা জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের মাফিয়া গডফাদার আর কক্সবাজারে গডফাদারের জন্য শেখ হাসিনা পার্লামেন্টে তাদের পক্ষে কথা বলতেন। কিন্তু বিএনপির নামে কেউ চাঁদাবাজি-অন্যায় করলে সঙ্গে সঙ্গে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমরা নিজেরাই পুলিশকে বলছি এমন কারোও বিরুদ্ধে মামলা দিতে অথবা নিজেরাও মামলা দিচ্ছে; এটাইতো তারেক রহমান। আর মিটফোর্ডের ঘটনায় কেন তার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই মুখপাত্র।

রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছয়-সাত বছর ভয়ংকর নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘরের মধ্যে যেখানে নিঃশ্বাস নেওয়া যায় না; সেই ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখলো শেখ হাসিনা। গোটা জাতি যার প্রতি সহানুভূতিশীল অথচ তার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ কথা বলছেন!

Advertisement

তিনি বলেন, তারেক রহমানকে ছাদের ওপর থেকে ফেলে কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছিল এক এগারোর সময়। নিপীড়িত-নির্যাতনের এক প্রতীক হচ্ছে তারেক রহমান। তার বিরুদ্ধে মিছিল ও ফেসবুকে বিভিন্ন কন্টেন্ট তৈরি করে আজেবাজে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলা হচ্ছে। তাহলে খুলনায় বিএনপির এক যুবককে গুলি করে তার পায়ের রগ কাটা এবং কক্সবাজারে বিএনপিকর্মী আব্দুর রহিমকে হত্যা করা নিয়ে কথা হচ্ছে না কেন?

কেএইচ/এমআইএইচএস/এমএস