মিচেল স্টার্কের ছোঁড়া ১৪৫ কিলোমিটার বেগের সাদা কোকাবুরা হঠাৎ করেই ইন-সুইং হয়ে ভেঙে দিলো দারুণ খেলতে থাকা বেন স্টোকসের স্ট্যাম্প। হতবাক স্টোকস, হতবাক মাঠ জুড়ে খেলা দেখতে আসা সমর্থকরাও! লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে অনার্স-বোর্ডে নাম লেখিয়েছেন পেসার জেসন বেহরেনডর্ফ। কিন্তু এরপরেও বন্দনা চলছে স্টার্কের ওই ডেলিভারিটি নিয়ে। অনেকেই বলছে, টুর্নামেন্টের সেরা বলটি দেখে ফেলেছে ক্রিকেট বিশ্ব।
Advertisement
শুধুমাত্র দারুণ এক বলে স্টোকসকে ফেরানো নয়; দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জো রুটকেও আসরে প্রথমবারের মতো দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে দেননি স্টার্ক। রুটকেও দারুণ এক ইনসুইঙ্গিং ইয়র্কারে আউট করেন এই পেসার। ম্যাচে স্টার্কের বাকি দুই শিকার- ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগান ও আদিল রশিদ।
এদিকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই ৪ উইকেট তুলে নিয়ে এখন অনন্য এক মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায় স্টার্ক। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত, ৭ ম্যাচ খেলে তার ঝুলিয়ে রয়েছে ১৯ উইকেট। চোট বা অন্য কোনো কারণে একাদশে না থাকলে নিশ্চিতভাবে আরো তিন ম্যাচ হাতে আছে তার। আর দল যদি ফাইনালে পৌঁছে যায় তবে ৪টি। আর এই ৩ বা ৪ ম্যাচে যদি আর ৮ উইকেট পান স্টার্ক, তবে স্বদেশী পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রাকে ছাড়িয়ে এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক বনে যাবেন স্টার্ক।
ক্যারিবীয়ান দ্বীপপুঞ্জে ২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচ খেলে ২৬ উইকেট নেন ম্যাকগ্রা। এদিকে মাত্র ৭ ম্যাচেই সেই রেকর্ডের আশে-পাশে চলে এসেছেন স্টার্ক। গত বিশ্বকাপেও অবশ্য এই রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন স্টার্ক। যদিও শেষতক, ২২ উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। তবে তাতেই হয়ে গিয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়।
Advertisement
অবশ্য সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ম্যাকগ্রার এই একটি রেকর্ডই নয়; আরও একটি কীর্তিও হাতছানি দিচ্ছে স্টার্ককে। যদি তা ছুঁতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে এই বাঁহাতি পেসারকে। বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭১ উইকেটের মালিকও গ্লেন ম্যাকগ্রা। ১৯৯৬ থেকে ২০০৭- এই ৪ বিশ্বকাপে ৭১ উইকেট নেন ম্যাকগ্রা।
এদিকে স্টার্ক এবার খেলছেন নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপে। আর এই দুই বিশ্বকাপে মাত্র ১৫ ম্যাচ খেলেই তার ঝুলিতে রয়েছে ৪১ উইকেট। এখনো ত্রিশের চৌকাঠ না পেরোনো স্টার্ক যদি আর ২টি বিশ্বকাপ খেলতে পারেন, তবে নিঃসন্দেহে কিংবদন্তি ম্যাকগ্রার ৭১ উইকেট নেয়ার কীর্তি হয়তো ভেঙেই দেবেন স্টার্ক।
এসএস/পিআর
Advertisement