ফিচার

মরুময় ক্যাম্পাস এখন সবুজ-শ্যামল

মরুর ন্যায় ধু-ধু বালুর মাঠ আর একটি একাডেমিক ভবন ছাড়া দৃশ্যমান কিছুই ছিল না। ছিল না তেমন কোন সতেজ প্রাণের সঞ্চার। গ্রীষ্মের প্রখরতায় ঝাঁঝিয়ে থাকতো ক্যাম্পাসের নিস্পৃহ বালুময় ৫৫ একর। আর সেটিই এখন দেশের সবচেয়ে বড় উদ্ভিদ সংগ্রহশালা।

Advertisement

শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) পরিস্থিতি ছিল মরুময়। তবে এ দৃশ্যের দ্রুত পরিবর্তন আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের একান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায়।

> আরও পড়ুন- পাখির জন্য গাছে কলস বাঁধছেন মাহফুজ

কয়েক বছরের ব্যবধানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই নিস্পৃহ রূপ বদলে গেছে। মরুখ্যাত ক্যাম্পাস এখন সবুজে ভরা। পরিবেশও শীতল। গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি এখন দেশের সবচেয়ে বড় উদ্ভিদ সংগ্রহশালা।

Advertisement

জানা যায়, ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভিসি হিসেবে নিয়োগ পান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন। যোগদানের প্রথম দিনে তিনি বলেছিলেন, এ মরুময় ক্যাম্পাসকে তিনি সবুজের ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলবেন। তিনি কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা সেটি করেছেন।

> আরও পড়ুন- ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েও ফটোগ্রাফিতে বাজিমাত

তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দেশের সবচেয়ে বড় উদ্ভিদ সংগ্রহশালায় পরিণত হয়েছে। ক্যাম্পাসে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, ফল, ওষুধি ও বনজ বৃক্ষ। সবুজের কার্পেটে ঢাকা এ ক্যাম্পাস এখন অযুত বৃক্ষরাজীর মেলা। প্রাণ ভরে যায় এর নৈসর্গিক পরিবেশ দেখলেই।

এছাড়া বশেমুরবিপ্রবি আসন সংখ্যায় দেশের চতুর্থ বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১১ সালে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টি বালু ভরাটকৃত ৫৫ একর জমির উপর মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। যা এখন দেশের সবচেয়ে বড় উদ্ভিদ সংগ্রহশালা।

Advertisement

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী

এসইউ/পিআর