গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে একদিনে নিহত হয়েছে আরও ৬০ জনের বেশি মানুষ। এর মধ্যে ১১ জন ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিল। সোমবার গাজাজুড়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
এদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বলছে, তারা গাজায় দুুর্ভিক্ষ ঠেকাতে এবং এই ভয়াবহ যুদ্ধ বন্ধ করতে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছে এবং মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজার চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা খাবারের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেখানে এখন পর্যন্ত ৫৯ হাজার ২৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৪২ হাজার ১৩৫ জন।
Advertisement
এদিকে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যসহ দুই ডজনেরও বেশি দেশ। দেশগুলোর দাবি, গাজার দুর্ভোগ ‘নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে’। ইসরায়েলের মিত্র দেশগুলোর পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য দেশটিকে আন্তর্জাতিকভাবে আরও বিচ্ছিন্ন করে তোলার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
২১ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় সংঘাত চলছে। কিন্তু বর্তমানে গাজার পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার ২০ লাখেরও বেশি মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে দিন কাটাচ্ছে।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং আরও ২১টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছে যে, গাজার যুদ্ধ এখনই শেষ হওয়া উচিত।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। স্বাক্ষরকারীরা আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি, ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে বন্দীদের মুক্তি এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
Advertisement
টিটিএন