আন্তর্জাতিক

নারীদের স্তন কেটে বিক্রি করাই নেশা তার (ভিডিও)

শহরের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতাম। এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক শেষে স্তন কাটতাম। তারপর সেগুলো বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতাম। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেছে আফ্রিকার দেশ নাইরোবির কুখ্যাত এক অপরাধী।

Advertisement

কেটিএন নিউজ কেনিয়া টিভির বিশেষ এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বোনিফেস কিমানিয়ানো নামের ওই ব্যক্তি বলেন, নারীদের স্তন কেটে বিক্রি করতেন তিনি। দুই বছর ধরে এমন নৃশংস অপরাধযজ্ঞ চালিয়েছেন তিনি।

কিমানিয়ানো বলেন, এ কাজ করার জন্য তার একটি চক্র ছিল। মূলত যৌনকর্মীদের টার্গেট করতো তারা। নাইরোবির কইনাঙ্গি স্ট্রিট এলাকায় বেশি তাণ্ডব চালিয়েছিল তারা। এ অপকর্মের শিকড় বিস্তৃত ছিল বহুদূর।

কুখ্যাত এই অপরাধী বলেন, তার দলের সদস্যরা প্রথমে যৌনকর্মীকে টার্গেট করতেন। তারপর কথাবার্তায় ফাঁসিয়ে ফেলা হতো থাকে। পাতানো ফাঁদে পা দিলেই তাকে নিয়ে যাওয়া হতো গোপন আস্তানায়। এরপর ফ্লেক্সর নামের এক ধরনের রাসায়নিকের মাধ্যমে তাকে অবচেতন করা হতো। সাধারণত ব্যথা উপশমের জন্য এই রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়।

Advertisement

কিন্তু এর অতিরিক্ত প্রয়োগেই জ্ঞান হারাতেন যৌনকর্মীরা। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই তাদের স্তন কেটে ফেলতো কিমানিয়ানো এবং তার সঙ্গীরা। স্তনের বিনিময়ে মিলত ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার কেনিয়ান শিলিং। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা অন্তত ৬৬ হাজার থেকে ৮৩ হাজার টাকা। যে স্তনের আকার যত বড়, তার মূল্য তত বেশি। তবে একাজ তারা নিজেরা করতো না। তাদের দিয়ে করানো হতো বলে দাবি করেছেন কিমানিয়ানো।

তিনজন নারীর স্তন কাটার পর বিবেকে ধাক্কা লাগে কিমানিয়ানোর। তারপরই এমন ঘৃণ্য অপরাধে ইতি টানেন তিনি। মাদকের ঘোরেই এমন নৃশংস অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়তেন বলে জানিয়েছেন কিমানিয়ানো। ২০১৬ সালে নাইরোবির হাসপাতালে নারীদের স্তন বিক্রির কথা জানতে পারে পুলিশ। তারপর ওই দলের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়।

এসআইএস/এমকেএইচ

Advertisement