জাতীয়

নির্দেশনার পরও হলে অবস্থান করছেন অধিকাংশ কুয়েট শিক্ষার্থী

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নির্দেশনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা হল ছাড়বেন না বলেও ঘোষণা দেন। সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করছেন।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার কুয়েটে সিন্ডিকেট সভা শেষে হল ভ্যাকেন্ট ঘোষণা করলে দুপুর থেকে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী হল ত্যাগ শুরু করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের একাংশ হলে অবস্থান করেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত হল ত্যাগ করেননি তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কুয়েটে হল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ তারা হল ছাড়বেন না। হল ছাড়তে হলে পুলিশ-সেনাবাহিনী দিয়ে তাদের রক্তের ওপর দিয়ে হল খালি করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, তাদের আন্দোলন দমানো, ভিন্ন খাতে প্রবাহিত এবং দীর্ঘায়িত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের চাপ চলছে। ছয় দফা দাবিতে তারা অনড় আছেন। তাদের ছয় দফার প্রতিটি দাবি মানতে হবে।

Advertisement

তারা বলেন, তাদের মধ্যে যে ১৫০ জন আহত হয়েছেন, কুয়েট প্রশাসন একবারও তাদের খোঁজ-খবর নেয়নি। শিক্ষার্থীদের পাশেও দাঁড়ায়নি। এর মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান কুয়েটের তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেদুজ্জামান শেখ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়েটের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিচুর রহমান ভূঁঞা। মঙ্গলবার সিন্ডিকেটের ৯৯তম জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরিফুর রহমান/এফএ/এমএস

Advertisement